কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ। এবার কসবাকাণ্ডের পর টিএমসিপি-র ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক একদা টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার।
আরও পড়ুন, ‘ভাত খাচ্ছিলাম, উঁকি দিয়ে দেখি..’, কসবাকাণ্ডের পর বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার নিরাপত্তা রক্ষী সঞ্জীব শীলের
সাংবাদিক: রাজন্যা, একাধিক মেয়ে এখন মুখ খুলছে। কসবাকাণ্ডের মনোজিতের মতো ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। এবং তাঁদের সঙ্গেও ঘটেছে..
রাজন্যা হালদার : এই যে অভিযোগের কথা আপনি বলছেন, এটা তো সত্যি, ওর সঙ্গে এরকম ঘটনার.. অ্যাকটিভিটি যুক্ত রয়েছে। এটা তো আজকে অস্বীকার করার জায়গায় আমরা নেই।.. ও নিজের প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও, নিজে ছড়িয়ে দিয়েছে। সে কতটা নোংরা, জঘন্য, হীনমানসিকতার হতে পারে ! তো আজকে যদি আমরা দায় অস্বীকার করি, মানে আমরা, আমাদের কথা বলছি (নিজের দিকে আঙুল দেখিয়ে), তাহলে সেটা তো হয় না। আমরাই এরকম দাদাদেরকে কোথাও না কোথাও গিয়ে, সঞ্জীবনী যুগিয়েছি।
সাংবাদিক: আপনি চিনতেন ?
রাজন্যা হালদার: মুখ চিনতাম। অস্বীকার করার তো জায়গা নেই। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি। দেখেছি। তার সঙ্গে কথাবাত্রাও হয়েছে। অনুষ্ঠানে। দ্বিতীয় যে ভাবে আমি ওকে চিনতাম, সেটা হচ্ছে, লিগাল অ্যাকটিভিটি, যেটার সঙ্গে প্রান্তিক যুক্ত ছিল। তো প্রান্তিকের সঙ্গে আমার অ্যাসোসিয়েশিয়ন যেহেতু ছিল, সেই সূত্রে আমি ওকে চিনতাম। এর বাইরে ও আমাকে যে বলেছে, তোমাকে এই কাজটা করে দিতে হবে, বা আমি ওর সঙ্গে কোনও সখ্যতা আলাদা করে দেখিয়েছি, এরকম নয়। কোনও হয়েছে কিনা, সেরকম কথা, আমার মনে হয় না হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করছি, যারা করছে অনেকদিন আগে থেকে, তাঁরা জানতো না ? আমি যদি এই ঘটনাগুলি টুকরো টুকরো করে জানতে পারি, তাঁরা জানতো না ? এটা হতে পারে ! আমার এটা প্রশ্ন।
সাংবাদিক: তাহলে পদক্ষেপ হল না কেন ?
রাজন্যা হালদার: এটাই তো খুব দুর্ভাগ্যের, যে পদক্ষেপ হয়নি তখন। আমি চাইছি তখন নাও যদি হয়ে থাকে, এখন হোক। এখন মনোজিত মিশ্রের মত দাদাদের, দাদা কালচারটা বন্ধ হোক। আমি মন থেকে চাইছি, দাদাদের যে আধিপত্য থাকবে, দাদারা পদ পাইয়ে দেবার লোভে সম্ভ্রম নিয়ে নেবে, এই মানসিকতা বন্ধ হোক। আমি চাই।
সাংবাদিক : এটা সম্ভব তৃণমূলে ?
রাজন্যা হালদার: আমি আশা রাখছি… আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, আমাদের নেত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, ..এই সময়টা আত্মশুদ্ধির জায়গা, আমি চাই তাঁরা এরকম পদক্ষেপ নিক। যেখানে মনোজিত মিশ্রের মতো দাদারা, যেনও আর মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে। আমার AI করা অশ্লীল ছবি, দাদারা জুনিয়রদের মোবাইলে মোবাইলে পাচার করেছে..
সাংবাদিক : তৃণমূলের ?
রাজন্যা হালদার: তৃণমূলের। কিন্তু এই দাদাদের কোনও দল হতে পারে, আমি এটা বিশ্বাস করি না। তবুও বলছি তৃণমূলের।