মহারাষ্ট্র: ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া মহারাষ্ট্রের বিধানসভার বাদল অধিবেশনে ৩ জুলাই অর্থাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। জানা গিয়েছে যে রাজ্যের অন্যতম বড় হিতকারী প্রকল্প ‘লড়কি বহিন যোজনা’ থেকে প্রকল্পের সুবিধে গ্রহণকারী ২২৮৯ জন মহিলার নাম বাদ গিয়েছে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে যে এই প্রকল্পের (Ladki Bahin Yojana) জন্য তারা যোগ্য ছিলেন না, কোনওভাবে অসদুপায়ে তাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এমনকী এও জানা গিয়েছে যে তাঁর সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ফলে এই নিয়মের অধীনে তাদের উপর কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অদিতি তাতকারে জানিয়েছেন যে এই প্রকল্পের বিষয়ে তদন্তের সময় এই অনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারপরেই এই সরকারি কর্মীদের নাম লড়কি বহিন যোজনার সুবিধেভোগীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অদিতি তাতকারে জোরের সঙ্গে জানান যে এই প্রকল্পটি আসলেই বঞ্চিত এবং দুঃস্থ মানুষদের জন্য, বিশেষত মহিলাদের (Ladki Bahin Yojana) জন্য। ‘লড়কি বহিন যোজনা’র লক্ষ্যই হল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল নারীদের ক্ষমতায়ন। এই প্রকল্পটি বিশেষত সেই সমস্ত মহিলাদের জন্য যারা কোনও সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত নন। সরকারের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই প্রকল্পের সুবিধে কেবলমাত্র যোগ্য মহিলাদের দেওয়া উচিত। সরকার এটিকে গুরুত্ব সহকারে পালন করছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
অদিতি তাতকারে এও জানান যে ২০২৫-২৬ সালের জন্য এই প্রকল্পে নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের পক্ষ থেকে ২৮,২৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজাতি উন্নয়ন বিভাগ থেকে বরাদ্দ হয়েছে ৩২৪০ কোটি টাকা। এমনকী সরকারের তরফে এও (Ladki Bahin Yojana) জানানো হয়েছে যে এই প্রকল্পে মাসিক কিস্তির অধীনে ঋণের সুবিধে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিষয় হল সরকার নিজেই ঋণের কিস্তি শোধ করবে যাতে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারেন। এই প্রকল্পের আওতায় এখনও পর্যন্ত ২.৪ কোটি নারীকে মাসিক ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের পুনর্গঠনের পরে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার থেকে সেই রাজ্যের মহিলারা প্রতি মাসে ১৫০০ টাকার বদলে পাবেন ২১০০ টাকা করে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে জোট সরকার ঘোষণা করেছিল যে মাঝি লড়কী বহেন যোজনার অধীনে মহিলাদের মাসে মাসে ১৫০০ টাকার বদলে ২১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু আবারও ফের নির্বাচনে জিতে আসার পর কয়েক মাস কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি সরকার।