NOW READING:
‘মনোজিৎ-মডেল’ উত্তরপাড়া কলেজেও !’TMCP-র ১০ নেতাকে চাকরি’; দায় ঠেলে কাঞ্চন বললেন,’কিছু জানি না’
July 4, 2025

‘মনোজিৎ-মডেল’ উত্তরপাড়া কলেজেও !’TMCP-র ১০ নেতাকে চাকরি’; দায় ঠেলে কাঞ্চন বললেন,’কিছু জানি না’

‘মনোজিৎ-মডেল’ উত্তরপাড়া কলেজেও !’TMCP-র ১০ নেতাকে চাকরি’; দায় ঠেলে কাঞ্চন বললেন,’কিছু জানি না’
Listen to this article


ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : কসবার ‘মনোজিৎ-মডেল’ এবার হুগলির উত্তরপাড়া কলেজে ! SFI-এর দাবি, ২০১১ সালের পর উত্তরপাড়ার রাজা প্য়ারীমোহন কলেজে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দশজন নেতাকে। অধ্য়ক্ষর দাবি, এই চাকরি হয়েছে পরিচালন সমিতির সুপারিশে। পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। যিনি কার্যত দায় ঠেলেছেন পূর্বসূরিদের দিকে।

কসবার ‘মনোজিৎ-মডেল’ এবার হুগলির উত্তরপাড়া কলেজে । কলেজের স্থায়ী-অস্থায়ী পদে চাকরি পেয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাধিক নেতা । কসবা-কাণ্ডের আবহে যা নিয়ে সরব হল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI।

কসবার আইন কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলকর্মী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে। আর SFI-এর দাবি, ২০১১ সালের পর উত্তরপাড়ার রাজা প্য়ারীমোহন কলেজে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দশ-দশজন নেতাকে। যাদের মধ্য়ে রয়েছেন TMCP পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক থেকে কলেজ ইউনিটের সদস্য় বা সম্পাদক। SFI-এর দাবি অনুযায়ী, উত্তরপাড়ার এই কলেজে স্থায়ী-অস্থায়ী চাকরি পেয়েছেন TMCP পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ঝুমা ধাড়া, সৌভিক মণ্ডল, অনাদি রায়, প্রাক্তন কালচারাল সেক্রেটারি সৌত্রিক লাহিড়ি, প্রাক্তন ইউনিট সেক্রেটারি নীলাদ্রি পাল, কলেজ ইউনিটের প্রাক্তন সদস্য় কৃশানু ঘোষাল, বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, দীপ দাস, মহিলাদের প্রাক্তন কমন রুম সম্পাদক রিয়া রায় এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ও যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক শুভদীপ মুখোপাধ্য়ায়।

SFI-এর হুগলি জেলা কমিটি সম্পাদক বাদশা দাস বলেন, “এটা একটা নিশ্চিত উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে উত্তরপাড়া কলেজের নেতা হবে তাঁকে উত্তরপাড়া কলেজের বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস অস্থায়ী কাজ দেয়। এরকম হাজার হাজার মনোজিৎ উত্তরপাড়া কলেজের অভ্যন্তরে রয়েছে।” 

উত্তরপাড়া রাজা প্য়ারীমোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্য়াপক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলেন, “ভয় সিন্ডিকেটকে পাকাপাকি চালু রাখা, এর পিছনে তো একটা কারণ আছে, অর্থ। পরিষ্কার বলছি, অর্থ। অনৈতিক উপায়ে অর্থ উপার্জন, তার দখলদারি…।”

TMCP-র ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৌভিক মণ্ডল সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি চাকরি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন কলেজেই রয়েছে। এসএফআইয়ের টাইমেই তো, যত লোক ছিল কলেজে সবাই তো এসএফআই করেই চাকরি পেয়েছেন। আমার কাছে দলের নির্দেশ আছে, এব্যাপারে কোনও কথা বলতেই বারণ করেছে।”

কলেজের বর্তমান অধ্য়ক্ষর দাবি, এই চাকরি হয়েছে পরিচালন সমিতির সুপারিশে। অধ্য়ক্ষ সুদীপকুমার চক্রবর্তীর কথায়, “আমি কোনও ক্যাজুয়াল নিয়োগ করিনি। আমি এসেছি ২০১৭। আমি এসে দেখছি আছে। সেটা হচ্ছে গভর্নিং বডির পারমিশন অনুযায়ী। “

উত্তরপাড়ার রাজা প্য়ারীমোহন কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তিনি কার্যত দায় ঠেলেছেন পূর্বসূরিদের দিকে। কাঞ্চন বলেন, “আমি এগুলো কিছু জানি না। ২০২১-এ আমি যখন দায়িত্বভার পেয়ে এসেছি, তখন আমি…এর আগেরগুলোর কিছু জানি না। এরপরও আমি বলছি, যদি সেগুলো হয়ে থাকে জিবি-র মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নেব।” 

উত্তরপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, “আমি এরকম কিছু সুপারিশ করিনি। বা, আমার কাছে সুপারিশের জন্য আসেওনি। কোনও বেকার ছেলের চাকরি হওয়া বিরাট কোনও অন্যায় মনে করি না।”

এর আগে এবিপি আনন্দই দেখিয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন কলেজে স্থায়ী-অস্থায়ী পদে চাকরি পেয়েছেন TMCP-র একাধিক প্রাক্তন নেতা। এবার তার ছায়া জেলাতেও। 



Source link