কলকাতা: কসবায় কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূলকর্মী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্রর গ্রেফতারি ঘিরে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্য়ে। এরইমধ্য়ে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরেও শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। এরই মাঝে FIR খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। এবার সোমবার পর্যন্ত কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেবে না পুলিশ, আদালতে জানাল রাজ্য। মামলার রুদ্ধদ্বার শুনানি চান কার্তিক মহারাজ, আপত্তি রাজ্যের।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টের দ্বারস্থ তামান্নার মা, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, কেন আমাকে এতদূর আসতে হয়েছে ?’
ঠিক কী হয়েছিল ?
সম্প্রতি কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। তাঁর দাবি, ২০১৩ সালে তাঁকে একটি সকুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান। তারপর একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ মহিলার। অভিযোগকারিণীর দাবি,’আমাকে পাঁচতলায় হঠাৎ রাত পৌনে ১০টা – ১০টা হবে, দেখা করতে আসছি তোমার সঙ্গে, এই বলে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। উনি বললেন, বড় লাইট জ্বালতে হবে না। তুমি আমার সঙ্গে সব কিছু করো আর কী, মানে বুঝতেই পারছেন। জুন মাসে ওখানে দেখা গেল, আমি প্রেগন্য়ান্ট। আমি তখন ওনাকে জানালাম। উনি তখন ঘাবড়ে গেলেন। বলছেন, যে তোমার হাতে পায়ে পড়ি। আমাকে তুমি প্রাণভিক্ষা দাও। নাহলে হয় জেল হবে, নাহলে সুইসাইড করতে হবে।’
‘সর্বোচ্চ ষড়যন্ত্র’
নবগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এই মহিলা। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার কার্তিক মহারাজকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তবে হাজিরার পরিবর্তে তিনি FIR খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।এর আগে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কার্তিক মহারাজ কিছু বলতে চাননি। কার্তিক মহারাজের উত্তর, ‘আমার লিগাল সেল দেখছে। আমি কিছু বলব না।’কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’একদম ষড়যন্ত্র। সর্বোচ্চ ষড়যন্ত্র। সমগ্র হিন্দু সমাজ মহারাজের সঙ্গে আছে।’ মঙ্গলবার নবগ্রাম থানার সামনে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। বেশ কিছুক্ষণ চলে সেই বিক্ষোভ। যদিও, শেষ অবধি কার্তিক মহারাজ হাজির হননি থানায়।