NOW READING:
নির্বাচন ছাড়া খোলা যাবে না ইউনিয়ন রুম, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জবাব তলব
July 3, 2025

নির্বাচন ছাড়া খোলা যাবে না ইউনিয়ন রুম, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জবাব তলব

নির্বাচন ছাড়া খোলা যাবে না ইউনিয়ন রুম, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জবাব তলব
Listen to this article


কলকাতা: নির্বাচন ছাড়া বাকি সময় বন্ধ রাখতে হবে কলেজের ইউনিয়ন রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন রুম খোলা যাবে না। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত, সেই আবহে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, ছাত্র সংসদের নির্বাচন করানো নিয়ে রাজ্যের অবস্থানও জানতে চাওয়া হল। হলফনামা দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। (Calcutta High Court)

কসবাকাণ্ডের পর থেকে ঘুরেফিরে একটা প্রশ্ন বার বার উঠে আসছিল যে, বছরের পর বছর যেখানে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয় না, সেখানে ইউনিয়ন নেতাদের এত দাপট, এত প্রভাব হয় কী করে? এদিন আদালত সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এই মুহূর্ত থেকে কলেজের সমস্ত ইউনিয়ন রুম এবং স্টুডেন্ট রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি সেন জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় পরিস্থিতিতে, উচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেই ইউনিয়ন রুম, স্টুডেন্ট রুম খোলা যাবে না। (South Calcutta Law College Case)

কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করানো নিয়ে আগেই আদালতে মামলা হয়েছিল। দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে, একটি ২০২৩ সালে এবং অন্যটি ২০২৫ সালে। দু’টি মামলাতেই দাবি ছিল, অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য ও শিক্ষা দফতরকে। সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু সেই মামলার পরও নির্বাচন হয়নি। 

এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইলেন বিচারপতি সেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যের জবাব পেলে সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত। পাশাপাশি, বিচারপতি সেন পরিষ্কার জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রী ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দল কলেজের ১০০০ মিটার এলাকার মধ্যে বিক্ষোভ দেখাতে পারবে না।

এ নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “ইউনিয়ন রুম কোনও একটি রাজনৈতিক দলের নয়। ইউনিয়ন রুম সাধারাণ ছাত্রছাত্রীদের, তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। ইউনিয়ন রুমে নানা কাজ থাকে, ফর্ম ফিলাপ থেকে একাধিক কাজ সেখান থেকেই সম্পন্ন হয়। ১৭ জুলাই পরবর্তী নির্দেশ। সেদিকে তাকিয়ে আছি।”

কসবা কাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে আদালত। প্রাক্তনীরা কীভাবে কলেজে প্রবেশের অধিকার পায়, কলেজের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে, অনধিকার প্রবেশ আটকাতে কী ব্যবস্থা রয়েছে, জানতে চাওয়া হয়। কসবার অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে আগে অভিযোগ জানানো হলেও কেন পুলিশ পদক্ষেপ করেনি, CCTV ব্যবস্থায় কেন খামতি ছিল, তা নিয়েও জবাব চাওয়া হয়েছে রাজ্য এবং কলেজের কাছে। কসবাকাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।



Source link