বিক্রম দাস ও পিয়ালি মিত্র: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের (Kasba Law College Gang Rape Case) তদন্তে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্যাতিতা ছাত্রীকে গার্ড রুমে জোর করে ঢোকানোর পর-ই ছাত্রী সাহায্যের জন্য কাউকে ফোন করতে যায়। ফোন করতে গেলেই সেই ফোন কেড়ে নেয় মনোজিৎ (Manojit Mishra)। এরপর ওই ছাত্রী চিৎকার করলে তাঁর মোবাইল ভেঙে দেওয়ার জন্যও উদ্যত হয় মনোজিৎ। মনোজিত সহ ধৃত অভিযুক্তদের পুলিসি হেফাজতে ম্যারাথন জেরায় এই তথ্য সামনে এসেছে।
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে আরও ৬ ধারা
আদালতে দেওয়া রিমান্ড লেটারে পুলিসের দাবি, অভিযুক্তরা ভুল তথ্য দিয়ে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। গতকাল থেকেই তাই অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা শুরু করেছে পুলিস। এর পাশাপাশি, কসবা কাণ্ডে আরও ৬ ধারা যুক্ত করল পুলিস। অপহরণের মামলাও যুক্ত হল এই মামলায়। রয়েছে, বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় আঘাতের ধারাও। ৬ ধারার মধ্যে ৩টে ধারা জামিন অযোগ্য। অভিযুক্তরা অত্যন্ত প্রভাবশালী বলেও রিমান্ড লেটারে উল্লেখ পুলিসে। ইতিমধ্যেই কসবা কলেজ গণধর্ষণকাণ্ডে ৩ জুলাই পর্যন্ত ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ বে়ড়েছে।
বাতিল হচ্ছে মনোজিতের ‘আইনজীবী’ তকমা?
কসবা ল কলেজের ঘটনার জেরে জরুরি বৈঠকে বসছে রাজ্য বার কাউন্সিল। আজ বিকেলে দফতরে বৈঠক ডাকা হয়েছে। মনোজিতের অ্যাডভোকেটশিপের এনরোলমেন্ট থাকবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে ওই বৈঠকে। (পড়ুন, Kasba Law College Incident: আরজি কর মামলায় ‘ধ*র্ষ*কের ফাঁসি’ চেয়েছিল ‘ক্রিমিনাল লইয়ার’ মনোজিৎ! কসবা কলেজে সে-ই ধ*র্ষ*ক…) ওদিকে ঘটনার আগে শেষ যে ইউনিয়ন রুম থেকে বেরিয়েছিল, অপরাধের বিষয়ে তাঁরও জানা ছিল কি না, তা জানতেও অভিযুক্তদের জেরা করছে পুলিস। অভিযোগ পত্র একাধিক জায়গায় “জিএসের” প্রসঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ, ঘটনার আগে ইউনিয়ন রুম থেকে বেরিয়ে যান তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরবেন বলে।
সন্দেহজনক ‘জিএস’-এর গতিবিধি!
জানা গিয়েছে, বিকেলে চারটে সময় বেরিয়ে যান জিএস। কিন্তু সেই ‘জিএস’ ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর দাবি , তিনি জিএস নন। ইতিমধ্যেই পুলিসকে যা বলার বলেছেন । তাঁর আরও দাবি, সেদিন তিনি ফিরে আসবেন বলে যাননি। আসছি বলে বেরিয়ে যান। তাঁর কথায়, “দুপুর ১২টা নাগাদ এসেছিলাম। কী করে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। আমরা সব রকম সহযোগিতা করেছি।”
মনোজিতের গ্যাং সদস্য ‘জিএস’!
মনোজিৎ প্রসঙ্গে অবশ্য তেমন কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। তবে, যাকে ‘জিএস’ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতা, সেই ছাত্রী কলেজে মনোজিতের ‘গ্যাং’-এর সদস্য বলেই অভিযোগ। কলেজে মনোজিতের যে ৮ জনের ‘গ্যাং’, ওই ছাত্রী মনোজিৎ ঘনিষ্ঠ ও সেই গ্যাং সদস্য বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, Kasba Law College Incident: মনোজিতের নির্যাতন! তরুণীর বিব*স্ত্র ভিডিয়ো একজন নয়, তোলে… কসবা গণ*ধ*র্ষ*ণে ভয়ংকর আপডেট…
আরও পড়ুন, Kasba Law College Incident: যৌ*নাঙ্গের ভিতরে মিলল… কসবা গণধ*র্ষ*ণে নির্যাতিতার দ্বিতীয় মেডিক্যাল টেস্ট রিপোর্টও ভয়ংকর!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)