NOW READING:
তেলেঙ্গানায় বিস্ফোরণে বাবার হদিশ, এখনও নিখোঁজ ছেলে; উৎকণ্ঠায় দাসপুরের পরিবার
July 2, 2025

তেলেঙ্গানায় বিস্ফোরণে বাবার হদিশ, এখনও নিখোঁজ ছেলে; উৎকণ্ঠায় দাসপুরের পরিবার

তেলেঙ্গানায় বিস্ফোরণে বাবার হদিশ, এখনও নিখোঁজ ছেলে; উৎকণ্ঠায় দাসপুরের পরিবার
Listen to this article


সোমনাথ দাস, দাসপুর: তেলঙ্গানায় রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের (Telangana Chemical Factory Blast) ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ২ শ্রমিক নিখোঁজ। এই ঘটনায় দাসপুরের বাসিন্দা আরও ২ জন হাসপাতালে ভর্তি। দাসপুরের হরিরাজপুরের বাসিন্দা বাবা-ছেলে সহ ৪ জন তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার রাসায়নিক কারখানায় কাজ করতেন।

উৎকণ্ঠায় দাসপুরের পরিবার: তেলেঙ্গানায় রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দাসপুরে উৎকণ্ঠার ছবি। এদের মধ্যে তারাপদ টুডু ও তাঁর ছেলে শ্যামসুন্দরও ছিলেন। সোমবার কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর জখম তারাপদ ও তাঁর আত্মীয় অসীম টুডু হাসপাতালের ICU-তে চিকিৎসাধীন। তারাপদর ছেলে শ্যামসুন্দর ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। বিস্ফোরণের ২ দিন পরেও ওই যুবকের খোঁজ না মেলায় আশঙ্কিত পরিবারের লোকজন। দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের BDO পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

গতকাল তেলেঙ্গানার এই রাসায়নিক কারখানাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই কারখানায় কাজ করতেন দাসপুরের চারজন।  যদিও রাজীব টুডু নামে এক ব্যক্তি  কাজ সেরে নিজের ঘরে চলে যাওয়ায়, দুর্ঘটনার কবলে পড়েননি। ঘটনায় দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা। দাসপুর এক ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ  শ্রমিকদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।  ঘটনার খবর পেয়ে দাসপুর ১ ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এমনকী ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। 

শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলেছিলেন। সেই কারণেই, বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে, এরাজ্য়ের বাসিন্দাদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠছে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য দিল্লি ও ওড়িশার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ফের উত্তপ্ত হল রাজ্য রাজনীতি এদিকে, দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভিন রাজ্য়ে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের। ওড়িশায় আটকে বীরভূমের ১৯ ও দিল্লিতে আটকে কোচবিহারের ৭। পরিবারের দাবি, পেটের তাগিদে, ওড়িশার বালেশ্বরে গিয়েছিলেন বীরভূমের ১৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, সেখানেই তাদেরকে আটকে রাখা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোনও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওড়িশায় গিয়ে আটকে থাকার এই তালিকায় রয়েছেন নলহাটি ২ ব্লকের সুকরাবাদ গ্রামের ১৬ জন ও পাইকর থানা এলাকার রামপুর ও বুলচাঁদপুরের ৩ জন। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়ে ইতিমধ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, বাংলাদেশি সন্দেহে, দিল্লি পুলিশের হাতে আটক কোচবিহারের ৭ পরিযায়ী শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের হাতে আটকে থাকার তালিকায় রয়েছেন, দিনহাটার ছিটমহল এলাকার অনেকে।  পরিবারের দাবি, ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহল বিনিময়ের সময়ে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন ৯২০ জন বাসিন্দা। ভারতে প্রবেশের পর বৈধ নাগরিকত্বও পান তাঁরা। বেশ কিছু বছর ধরে, দিনহাটায় ছিটমহল আবাসনে থাকতেন তাঁরা। ইটভাটায় কাজের জন্য হরিয়ানায় গিয়েছিলেন তাদের মধ্যেই ৭ জন। সেখান থেকে কোনও কারণে দিল্লিতে গেলে, সেখান থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। 



Source link