কলকাতা: বজবজের পূজালিতে ইন্ডিয়ান অয়েলের শ্রমিকদের বিক্ষোভে (Indian Oil Workers Protest) ধুন্ধুমার। শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মজুরি, তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে দরবার করেও মেলেনি সুরাহা। রান্নার গ্য়াসের সিলিন্ডারের প্লাগ খুলে বিক্ষোভ দেখান চালক ও খালাসিরা। একাধিক বাইক ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। করা হয় রাস্তা অবরোধও।
শ্রমিকদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার: ইন্ডিয়ান অয়েলের শ্রমিকদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়াল পূজালিতে। একাধিক বাইক ভাঙচুর থেকে সেগুলিতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টার পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করা হয়। এখানেই শেষ নয়, রান্নার গ্য়াসের সিলিন্ডারের প্লাগ খুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ড্রাইভার ও খালাসিরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মজুরি বকেয়া রয়েছে। সেই নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে দরবারও করেছেন তাঁরা কিন্তু তাতেও কিছু লাভ হয়নি। বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান কয়েকজনকে পাঠান শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য়। তাতে কোনও সমাধান সূত্র না বেরোনোর পর উত্তেজিত হয়ে পুজালি-বজবজ রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। কথা বলতে আসা তৃণমূল কর্মীদের বাইক ভাঙচুর করা হয়। এমনকী রান্নার গ্য়াসের সিলিন্ডারের প্লাগ খুলে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। ফলে গোটা এলাকা ভরে যায় গ্য়াসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের তোলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে পুলিশ।
অনিয়মিত বেতন ও বয়স্কদের জোর করে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গত সোমবার হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী শ্রমিকরা। ঘেরাও করে রাখা হয় প্রধান-সহ একাধিক কাউন্সিলরকে। আন্দোলনকারী এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে রাত ১টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাও মুক্ত হন পুর চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা হাজার দুয়েক। তাঁদের অভিযোগ, বেতন নিয়মিত হয় না। এ ছাড়া ৬৫ ঊর্ধ্ব শ্রমিকদের বিনা নোটিসে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলাকালীন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। আন্দোলনকারীরা কাজ বন্ধের ডাক দেওয়ায় পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন কর্মী নিয়োগ করে কাজ চালাবে পুরসভা, জানিয়েছেন পুরপ্রধান। বিক্ষোভকারী অস্থায়ী শ্রমিক জানান, “আমাদের কোনও নোটিস দিল না, কিছু জানাল না। জানাল না, কে কে বসবে, অথচ কাল থেকে তারা বসে যাবে। এটা কী রকম নিয়ম, একটা নোটিস তো অন্তত ২ মাস বা ৩ মাস আগে দেওয়া উচিত।”