কলকাতা: কসবাকাণ্ডে রাজ্যে এল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পৌঁছলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পুলিশকর্তা সত্যপাল সিংহ, বিজেপি সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব। দলে আছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখিও। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ মনন কুমার মিশ্র। প্রতিনিধি দল রিপোর্ট দেবে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। কোথাও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, অভিযোগ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের।
আরও পড়ুন, কসবাকাণ্ডের জল গড়াল সুপ্রিমকোর্টে, CBI তদন্তের আর্জি
সম্প্রতি বিক্ষোভ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন বিজেপির নেতারা। নারী সুরক্ষার দাবিতে কন্য়া সুরক্ষা যাত্রার ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারেই গোলপার্ক থেকেই সেই কর্মসূচি শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন,মমতার পদত্য়াগ করা উচিত। যুব মোর্চা ডাক দিয়েছে ২ তারিখে। আমি নিজে থাকব, আমি আয়োজন করব। ‘পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কার্তিক মহারাজ আশ্রমের ঘরে কাকে কী করেছেন। একদম তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁর পাশে থাকব এই অঙ্গীকার দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কন্য়া সুরক্ষা যাত্রা শুরু করা উচিত।’
কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গড়িয়াহাট! গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ ৬৫ জন বিজেপি নেতা কর্মী…। ব্য়ক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে রাজি হননি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তমোঘ্ন ঘোষরা । বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাতভর বিক্ষোভের আঁচ গড়িয়েছিল লালবাজারে। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক হন সজল ঘোষ সহ কলকাতা পুরসভার তিন বিজেপি কাউন্সিলর। দলীয় কাউন্সিলরদের তুলে নিয়ে গেলেও লালবাজারের বাইরে রাতভর বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা । কখনও রাস্তায় শুয়ে কখনও টায়ার জ্বালিয়ে দফায় দফায় চলে চলে স্লোগান। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর, রবিবার সকাল ৭ টায় লালবাজার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির ৩ নেতা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা জামিনের বন্ডে সই ছাড়া বেরিয়েছি। পুলিশকে আরও একবার ভারতীয় জনতা পার্টির দাবির সামনে মাথা নত করতে হল। এইভাবে বারবার মাথা নত করতে হবে। তারপরে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সামনে এই সরকার ‘২৬-এ মাথা নত করবে।’ কুণাল ঘোষ বলেন,’ সুকান্ত মজুমদারকে ধরলে একটা ভ্য়ানে করে ধাপার মাঠে ছেড়ে দিয়ে আসা উচিত। একা একা হেঁটে বাড়ি ফিরবে। ‘একদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে বেআইনি গ্রেফতারির অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনারকে চিঠিও দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি নেতা-কর্মীরা।