জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘আমার মুখে কথা বসানো হয়েছে’। কসবাকাণ্ডে এবার ভোদলবদল মদন মিত্রের! বললেন, ‘কোনও চিঠি আমি পাইনি। যদি চিঠি আসে, আমি নিশ্চয়ই উত্তর দেব’।
আরও পড়ুন: Kasba Law College Incident: ‘ধ*র্ষ*ক’ মনোজিতের যৌ*না*চারের প্রমাণ চিহ্নিত? বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ‘অন্তর্বাস’…
মদন বলেন, ‘আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সেই ডকুমেন্ট দলের হাতে তুলে দেব। যা বলার দলকে বলব। তবে যেকথা আমার মুখে বসানো হয়েছে। আমার কাছে সেটা খণ্ডন করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। সেগুলি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলির পাঁঠা করার জন্য করা হয়েছে। সেটা আমি দেখেছি’। তাঁর দাবি, ‘আমি এই বক্তব্য রাখিইনি। আমার কাছে আমার বক্তব্যে আনএডিট রয়েছে। তবে যেটুকু মিডিয়াতে এসেছে, অনুতপ্ত নই। আমার তো মনে হচ্ছে খুন করে ফেলি। আমার মূল বক্তব্যটাই ছিল, গণপিটুনি বা এই ধরণের ঘটনায় আমরা জানতে পারলে, নিজের হাতে বোধহয় পিটিয়ে মেরে দিলে শান্তি হত’।
আরওপড়ুন: Kasba Manojit Mishra’s Girl Friend: কসবাকাণ্ডে ফের বাঁক? ঘনিষ্ঠ বান্ধবীযোগ, সঙ্গে ‘রহস্যময়ী’র বিস্ফোরক অভিযোগ মনোজিতের বিরুদ্ধে…
কসবাকাণ্ডে যখন তোলপাড়া গোটা রাজ্য, তখন দলেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন খোদ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর মতে, ‘ওই মেয়েটি যদি ওখানে না যেত, এই ঘটনা তো ঘটত না। যাওয়ার সময়ে যদি কাউকে বলে যেত, দু’জন বান্ধবীকে নিয়ে যেত, বাবা-মাকে নিয়ে যেত, তা হলে এটা ঘটত না। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অভিযুক্তেরা’। মদনকে শোকজ করেছে তৃণমূল। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
এদিকে তৃণমূল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘সহপাঠী যদি সহপাঠিনীকে ধর্ষণ করে, তা হলে নিরাপত্তা দেবে কে’? কিন্তু তাঁকে শোকজের মুখে পড়তে হয়নি। মদন বলেন, আমি এখনও শোকজ লেটার পাইনি। কল্যাণকে কী করা হয়নি, তার উত্তর আমি কীভাবে উত্তর দেব! দল যদি শোকজ করে, আমি নিশ্চয়ই উত্তর দেব। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা শুধু করি নয়, আমরা জানতে পারলে আগে থেকে যে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে নিজেরাই পিটিয়ে মেরে দিতাম’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)