NOW READING:
আসানসোলের আবাসনে আগুন, ধোঁয়া দেখে বাঁচাতে এসেও শেষ রক্ষা হল না, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৩
June 29, 2025

আসানসোলের আবাসনে আগুন, ধোঁয়া দেখে বাঁচাতে এসেও শেষ রক্ষা হল না, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৩

আসানসোলের আবাসনে আগুন, ধোঁয়া দেখে বাঁচাতে এসেও শেষ রক্ষা হল না, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৩
Listen to this article


কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোলে একটি আবাসনে আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৩। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১। আসানসোল দক্ষিণ থানার বৈশালি পার্ক এলাকার ঘটনা। শনিবার রাতে আবাসনের নীচের তলা থেকে ধোঁয়া দেখা যায়। আবাসিকরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন, কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতা ও ৩ ধৃতের DNA-র নমুনা সংগ্রহ, পাঠানো হল এবার পরীক্ষার জন্য

কীভাবে আগুন লাগে, এখনও পর্যন্ত সেটা নিয়ে রহস্য রয়ে গিয়েছে। পুলিশ এবং দমকল বাহিনী দুই তরফেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে এখনও পর্যন্ত সেরকম কিছু উঠে আসেনি। আসানসোল দক্ষিণ থানার বৈশালি পার্ক এলাকার ওই আবাসনের নীচের তলায় থাকতেন বাবলু সিংহ ও শিল্পী চট্টোপাধ্যায়। উপরের তলায় থাকতেন, শিল্পীর বাবা-মা। হঠাৎ করে রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ দেখা যায়, রান্নাঘর থেকে ধোয়া বেরিয়ে আসছে। এরপর নিরাপত্তারক্ষী অন্যান্য আবাসিকদের, ফোন মারফৎ খবরটা জানিয়ে দেয়। তার ছুটে এসে আঘুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ অবধি তাঁদের পক্ষে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। তারপরেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব শেষ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তনিজনের মৃত্যু ঘটে।

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে শহরের অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে উদ্বেগ ধরা পড়েছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের কাউন্সিলরদের মধ্য়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে মেয়রের কাছে কেউ দিলেন প্রস্তাব। কেউ করলেন প্রশ্ন। দমকলের নিয়ম মেনে অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থায় জোর দেওয়ার কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।গত কয়েক মাসে ঘটে গিয়েছে বড়বাজার,লেকটাউন, সল্টলেক, খিদিরপুর, বারাসাত- একের পর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড! দায় ঠেলাঠেলি! বারবার একই ছবি। 

মহানগরীর অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থায় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে! কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের কাউন্সিলরদের গলাতে ধরা পড়ল সেই উদ্বেগ। কলকাতা পুরসভার ৪৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শিয়ালদহ স্টেশন, বিদ্য়াপতি সেতু, শিশির মার্কেট, বৈঠকখানা মার্কেটের মতো অঞ্চল ঘিরে রয়েছে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডকে। চারপাশে বহু হোটেল, রাস্তায় অগণিত মানুষের যাতায়াত। জনবহুল এই এলাকায় অগ্নি নির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তৃণমূল কাউল্সিলর। প্রতি ওয়ার্ডে অগ্নি নির্বাপক ব্য়বস্থা হিসেবে গঙ্গাজলকে ব্য়বহার করে ফায়ার ফাইটিং পয়েন্ট গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।

অগ্নি নির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে পর্যাপ্ত ব্য়বস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা  মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,’দমকলের কাছ থেকে নির্দেশ আসার পরে কলকাতা পৌরসভা সেই অনুযায়ী কাজ করবে। ওয়াটার কোথায় দেবে? কোথায় রিজার্ভার করবে ? কোথায় ডিপ টিউবওয়েল করবে ? কোথায় স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হবে এগুলো করে যাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় যাতে আমাদের সমস্যায় না পড়তে হয় দমকলকে, তাই এই কাজগুলো আমরা করব। ‘অগ্নিকাণ্ডে রাশ টানতে রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করেছে নবান্ন। বৈঠক হয়েছে পুরসভাতেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে নানা প্রস্তাব-পরামর্শ উঠে এসেছে। কিন্তু শেষ অবধি কী হবে? নিয়ম ভাঙার জেরে আর কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না তো?

 

 



Source link