বার্মিংহাম: প্রথম টেস্ট হারের পর ইংল্যান্ডের (ENG vs IND) বিরুদ্ধে ২ জুলাই থেকে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে ভারতীয় দল। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বার্মিংহামে পৌঁছে জোরকদমে অনুশীলন সারছেন টিম ইন্ডিয়ার তারকারা। তবে সেই অনুশীলনে হঠাৎই এক পঞ্জাব কিংস তারকার দেখা মিলল। না না অর্শদীপ সিংহের কথা বলা হচ্ছে না। তিনি তো ভারতীয় স্কোয়াডেরই অঙ্গ। এদিন নেটে অন্য এক কিংস ক্রিকেটারের দেখা মিলল। কে তিনি?
শনিবার ভারতীয় দলের নেটে শুভমন গিলরা তো ঘাম ঝরালেনই, পাশাপাশি নেটে হাত ঘোরাতে দেখা গেল আরও এক তারকাকে। তিনি হরপ্রীত ব্রার (Harpreet Brar)। পঞ্জাব কিংসের হয়ে আইপিএলে খেলেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। তাঁকেই ভারতীয় দলের নেটে বেশ অনেকটা সময় বোলিং করতে দেখা গেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় দলের নেটে ব্রারের বোলিংয়ের না না ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে।
এবার প্রশ্ন উঠছে ব্রার তো ভারতীয় দলের অঙ্গ নন। তাহলে কি তাঁকে টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে যুক্ত করা হবে? হর্ষিত রানাও প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ভারতীয় দলের ১৮ জনের স্কোয়াডে ছিলেন না। তবে তাঁকে প্রথম টেস্টের আগেই টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে ব্যাক আপ হিসাবে যোগ করা হয়। তিনি ১৯তম ক্রিকেটার হন। প্রথম টেস্টের পরদিনই সব ভারতীয় বোলার ফিট থাকায় অবশ্য হর্ষিতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবার কি তাহলে হর্ষিতের পর হরপ্রীত যুক্ত হচ্ছেন?
যা শোনা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী উত্তরটা কিন্তু নেতিবাচকই। হরপ্রীত কেবলই নেট বোলার হিসাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়ার তারকাদের স্পিনের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অনুশীলন করানোর জন্যই তাঁকে আপাতত ডাকা হয়েছে বলে খবর। ভারতীয় দলে এমনিই ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাডেজা ও কুলদীপ যাদব, তিন স্পিনার রয়েছেন। এই তারকাদের চোটআঘাত লাগলে তখন হয়তো হরপ্রীতকে দলে নেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখা হলেও হতে পারে।
ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচটি এজবাস্টনে হবে। এই মাঠে ব্যাটারদের দাপট অনেক বেশি থাকে। এই মাঠে প্রথম দুই থেকে তিন দিন পিচ ব্যাটারর জন্য বেশি সহায়ক প্রমাণিত হয়। যদিও আকাশ মেঘলা থাকলে ফাস্টবোলাররা সামান্য সাহায্য পান। তবে ব্যাটাররা এই পিচে বেশি প্রভাবশালী থাকে।
এজবাস্টনের পিচে এখন পর্যন্ত ৬০টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে। এজবাস্টনের পিচে প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর ছিল ৩০২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং দলেরই দাপট ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও গড় স্কোর ৩০২ রান। তবে পিচ চতুর্থ ইনিংসে কঠিন হয়ে যায়। শেষ ইনিংসে গড় স্কোর ১৫৭ রান। এই মাঠে প্রথমে ব্যাট করা দল ১৯টি ম্যাচ জিতেছে। অন্য দিকে, ২৩টি ম্যাচে প্রথমে বোলিং করা দল জিতেছে।