NOW READING:
কসবাকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্যের SIT গঠন করল কলকাতা পুলিশ
June 28, 2025

কসবাকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্যের SIT গঠন করল কলকাতা পুলিশ

কসবাকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্যের SIT গঠন করল কলকাতা পুলিশ
Listen to this article



<p><strong>হিন্দোল দে, কলকাতা :</strong> কসবার আইন কলেছে ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’কাণ্ডে এবার SIT গঠন করল কলকাতা পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে এই স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশের এই SIT গঠন করা হয়েছে। কসবাকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্যের SIT গঠন করল কলকাতা পুলিশ। আলিপুর আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।&nbsp;</p>
<p>লালবাজার সূত্রে খবর, কসবাকাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। মোট ৫ সদস্যের এই টিম গঠন করা হয়েছে। ডিসি এসএসডি (সাউথ সাবার্বন ডিভিশন)- র একজন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার যাঁর নাম প্রদীপ কুমার ঘোষাল, তাঁর নেতৃত্বে কসবাকাণ্ডের তদন্ত হবে। সিট- এর টিম কাজ করবে। গোটা ঘটনাক্রম কী হয়েছিল, কীভাবে ঘটনা ঘটেছিল, কী অভিযোগ- এই সমস্ত বিষয়ের পাশাপাশি, সিসিটিভি ফুটেজ, যাঁদের গ্রেফতার হয়েছে তাঁদের বক্তব্য, সবই খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে সঠিকভাবে, সঠিক পথে এগোয় সেটা সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।&nbsp;</p>
<p>কলেজেই আইনের ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’, মিলল ‘নির্যাতনের ভিডিও’। ধৃত একজনের মোবাইলে মিলল নির্যাতনের ভিডিও, খবর পুলিশ সূত্রে। নির্যাতনের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ কলেজ ছাত্রীর। ল’ কলেজে ‘গণধর্ষণ’, সাড়ে ৭ ঘণ্টার CC ফুটেজ উদ্ধার। ২৫ জুন, দুপুর ৩.৩০ থেকে রাত ১০.৫০ পর্যন্ত CC ফুটেজ উদ্ধার। অভিযোগকারিণীর বয়ানের সঙ্গে ফুটেজ মিলিয়ে দেখছে পুলিশ, খবর সূত্রের।&nbsp;</p>
<p>কসবায় কলেজ ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’, ফরেন্সিক পরীক্ষায় ধস্তাধস্তির প্রমাণ, খবর সূত্রের। কলেজের ইউনিয়ন রুম, ওয়াশ রুম ও গার্ড রুম পরিদর্শন বিশেষজ্ঞদের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ছেঁড়া চুল, ধস্তাধস্তির প্রমাণ মিলেছে, খবর সূত্রের। FIR উল্লেখিত হকি স্টিক ও বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। নির্যাতিতার অভিযোগে উল্লেখ, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় তাঁকে হকি স্টিক দিয়ে মারার চেষ্টা হয়। এছাড়াও ইউনিয়ন রুম থেকে মিলেছে প্লাস্টিক ও কাচের বেশ কিছু বোতল। কসবাকাণ্ডে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হওয়ার সম্ভাবনা।&nbsp;</p>
<p>অন্যদিকে, কসবাকাণ্ডে অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে মেডিকো-লিগাল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। নখের আঁচড়, আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, জানতে মেডিকো লিগাল পরীক্ষা জরুরি। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ যাচাইয়ের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াতেও প্রমাণ খতিয়ে দেখা হবে।&nbsp;</p>
<p>আর জি কর মেডিক্যালের পর সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজ। ক্যাম্পাসের গার্ড রুমেই আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ। কলেজের মেন গেটে ঢোকার মুখে লাগানো আছে CC ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা থেকে ইউনিয়ন রুমের দরজা পর্যন্ত দেখা যায়। ঘটনার সময় ইউনিয়ন রুমের বাইরে পাহারায় ছিলেন দুই আইন পড়ুয়া, অভিযোগ নির্যাতিতার। প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জেব আহমেদ তাঁরা ওখানে ছিলেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে CC ফুটেজ। ৩ অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জেব আহমেদ ছাড়া আর কারা ওখানে ছিল? নিরাপত্তারক্ষী ও গার্ডের সাহায্য চেয়েও পাননি, অভিযোগ নির্যাতিতার। কেন পাননি সাহায্য? কলেজে মনোজিতের দাপট? নাকি নিরাপত্তারক্ষী ও গার্ডকে হুমকি হয়েছিল মনোজিৎ? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নিরাপত্তারক্ষীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।&nbsp;</p>



Source link