জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাত্র ৪২ বছর বয়সেই প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালা(Shefali Jariwala Death)। অভিনেত্রীর আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ নেটপাড়া থেকে বিনোদন দুনিয়া। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই শেফালি মারা যান।
বহু আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে শেফালি জানিয়েছিলেন যে, ১৫ বছর বয়সে তাঁর মৃগী রোগ(এপিলেপসি) ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর বয়সে আমি প্রথম খিঁচুনি (মৃগী ঝাঁকুনি) অনুভব করি। তখন আমি পড়াশোনার জন্য ভীষণ চাপে ছিলাম। স্ট্রেস ও উদ্বেগ থেকে এই খিঁচুনি বা সিজ়ার হতে পারে। এটা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত—ডিপ্রেশন থেকেও সিজার হতে পারে, আবার সিজার থেকেও মানসিক অবসাদ আসতে পারে।’
আরও পড়ুন:Kasba Law College Incident: ইউনিয়ন নেত্রী করার টোপ! সম্পর্কে যেতে রাজি না হতেই মনোজিত্-সহ…কসবাকাণ্ডে BIG UPDATE
অভিনেত্রী আরও জানিয়েছিলেন কীভাবে এই রোগ তাঁর আত্মবিশ্বাস ও জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, ‘ ক্লাসরুমে, স্টেজের পিছনে, রাস্তায়—বিভিন্ন জায়গায় খিঁচুনি শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
পেশাগত জীবনে এই অসুস্থতা কীভাবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে সম্পর্কেও শেফালি বলেন, ‘কাঁটা লাগা করার পর অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করত, আমি আরও কাজ করিনি কেন। এখন আমি বলতে পারি, সেটা মৃগীর কারণে সম্ভব হয়নি। আমি জানতাম না, কখন কোথায় আবার খিঁচুনি শুরু হবে… এটা প্রায় ১৫ বছর ধরে চলেছিল।’
আরও পড়ুন:Shefali Jariwal Death: মাত্র ৪২-এই থামল জীবন! আচমকাই প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি…
শেফালি জরিওয়ালা আরও জানিয়েছিলেন যে, তিনি গত নয় বছর ধরে মৃগী থেকে মুক্ত ছিলেন। প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি তাঁর সেরে ওঠার কারণ। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের উপর গর্বিত, কারণ আমি আমার ডিপ্রেশন, প্যানিক অ্যাটাক ও উদ্বেগকে প্রাকৃতিক উপায়ে সামলাতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, শেফালি জরিওয়ালা ২০০২ সালে ‘কাঁটা লাগা’ গানে অভিনয়ের পর রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই গানটি তখনকার সময়ে একটি পপ কালচার সেনসেশন হয়ে উঠেছিল। পরে তিনি বিগ বস ১৩-তে অংশগ্রহণ করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। শো-তে তাঁর আত্মবিশ্বাস ও স্পষ্ট কথা বলার ভঙ্গি দর্শকদের নজর কাড়ে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)