NOW READING:
শুভাংশুরা মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছেন ছোট্ট হাঁসের পুতুল ! নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়’
June 26, 2025

শুভাংশুরা মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছেন ছোট্ট হাঁসের পুতুল ! নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়’

শুভাংশুরা মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছেন ছোট্ট হাঁসের পুতুল ! নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়’
Listen to this article


কলকাতা: শুভাংশুরা মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছেন একটি ছোট্ট হাঁসের পুতুল। এই মিশনের জিরো গ্রাভিটি ইন্ডিকেটর এই পুতুলটি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়’। রাজহাঁস দেবী সরস্বতীর বাহন। জ্ঞানের প্রতীক। তাই মহাকাশ গবেষণার এই অধ্য়ায়ে তাকেই সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন মহাকাশচারীরা।

আরও পড়ুন, আজ রথযাত্রার ব্যবস্থাপনা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

১৯৮৪-র পর ২০২৫। রাকেশ শর্মার পর শুভাংশু শুক্লা। ৪১ বছর পর মহাকাশে পাড়ি দিলেন দ্বিতীয় ভারতীয়। আসুন ভারতের মানব মহাকাশ কর্মসূচি শুরু করি। জয় হিন্দ! জয় ভারত! স্পেস স্টেশনের পথে বার্তা দিলেন শুভাংশু। আনন্দের কান্নায় ভাঙলেন শুভাংশুর বাবা মা। ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা বলেন, নমস্কার, আমার প্রিয় দেশবাসী! কী অসাধারণ যাত্রা! ৪১ বছর পর আমরা আবার মহাকাশে ফিরে এসেছি। আরও একটা বুধবার। বুধের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে ফের ইতিহাস তৈরি করল ভারত।১৯৮৪-র পর ২০২৫। রাকেশ শর্মার ৪১ বছর পর মহাকাশে পাড়ি দিলেন আরেক ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। যাবতীয় উৎকণ্ঠা আর আশঙ্কার মেঘ সরিয়ে, ৯ মাসের বন্দিদশা কাটিয়ে যেদিন পৃথিবীতে ফেরেন সুনীতা উইলিয়ামসরা, সেদিন ছিল ১৯ মার্চ, বুধবার। 
 
আরেকটি বুধবার ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ১ মিনিটে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে উড়লেন শুভাংশুরা। এটা একটা অসাধারণ যাত্রা। আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৭.৫ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছি। আমার কাঁধে থাকে তিরঙ্গা আমাকে বলছে যে, আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে আছি। অভিযানের নাম ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’। বাহন স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশনযান! মহাকাশে পড়ি দেওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মে। কিন্তু বাধা এসেছে, ৭ বার। কখনও খারাপ আবহাওয়া, কখনও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অভিযান পিছিয়েছে বার বার।সেই সব বাধা দূর করে শেষমেষ, বুধবার উড়ে গেল ড্রাগন স্পেসক্রাফট।

ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা বলেন, 00.45 আমি যখন জানতে পারলাম, আমি যাচ্ছি, তখন প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিলাম। আমি খুব খুশি ছিলাম। কারণ, এটা ছিল আমার কাছে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ। এই খুশিটা আমি বুঝিয়ে বলতে পারব না। যে দলের সঙ্গে আমি যাচ্ছি, তা অসাধারণ। 1.05 মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন ছেলে। আনন্দে চোখে জল শুভাংশুর মা-বাবার। ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার মা আশা শুক্লা বলেন, কোন সমস্যা নেই, সব ঠিক আছে। ছেলেকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। ছেলেকে দেখে তো হবেই। 

 ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ অভিযানকে গগনযান কর্মসূচির সূচনা হিসেবে দেখছে ISRO.’গগনযান’ মিশনের মাধ্যমে প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তাঁদেরই একজন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন লখনউয়ের বাসিন্দা শুভাংশু শুক্লা। পনেরো বছর ধরে ফাইটার প্লেন ওড়ান তিনি। এএন-৩২, জাগুয়ার, হক, মিগ-২১-সহ নানা ধরনের যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ঝুলিতে রয়েছে ২ হাজার ঘণ্টার বেশি উড়ানের অভিজ্ঞতা। 
 
ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজ়িক্সের অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন,  এই যন্ত্রটা, ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ৯০ মিনিটে সারা পৃথিবীকে ১ বার করে ঘুরছে। এমন করে আমাদের টাইমিং করে ছাড়তে হচ্ছে, যাতে এরা দু’জনে মিলে এক জায়গায় গিয়ে টাচ করে, ঠিক বিকেল ৪.৩০-এর সময়, কালকে। তারপরই কিন্তু ডকিংটা হবে। এবং, এই ডকিংটা করতে ২৮ ঘণ্টা সময় লাগছে।  ২৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টেয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছবেন ৪ নভশ্চর। এই অভিযানের হাত ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রথমবার পা রাখবেন কোনও ভারতীয় মহাকাশচারী।



Source link