হিন্দোল দে, কলকাতা: খাস কলকাতায় বাড়ির ছাদ থেকে তরুণীর মরণঝাঁপ (College Student Death)। আবাসনের সামনে থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়াল যোধপুর পার্ক এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে লেক থানার পুলিশ।
কলেজ ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু: কলকাতায় কালনা কলেজ ছাত্রীর রহস্য়মৃত্য়ু ঘিরে চাঞল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, যোধপুর পার্কে আবাসনের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম সায়নী খাতুন ( ২১ )। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী। যোগমায়া দেবী কলেজে সাইকোলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন পর সেখান থেকে কালনা কলেজে স্থানান্তরিত হন। যোধপুর পার্কের বাড়িতে দিদির সঙ্গে পেইং গেস্ট হিসেবেই থাকতেন সায়নী।
বুধবার সকালে বিকট শব্দ পান আবাসনের বাসিন্দারা। ছুটে বাইরে বেরিয়েই দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে সায়নী। বাড়ির নিচে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। লেক থানায় খবর দেওয়া হয়। বাড়ির মালিক শ্রাবণী গিরি বলেন, “দেড় বছর ধরে দিদির সঙ্গে ভাড়া থাকত। আজ হঠাৎ করে দেহ উদ্ধার আমরা বিকট শব্দ শুনতে পায়। ছুটে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।” প্রত্যক্ষদর্শী জয় সরকার বলেন, “এখানে আচমকা বিকট একটা শব্দ পায়। বেরিয়ে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, বেশকিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ছাত্রীর। রহস্য়মৃত্য়ুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে লেক থানার পুলিশ।
এদিকে বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে খুন করে থানা গিয়ে আত্মসমর্পণ করল ছেলে। থানায় এসে জানাতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্মীদের। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৭৪ বছরের ললিত অধিকারী তাঁর ছেলে গৌতমের সঙ্গে বরানগরের শিশির দাঁ রোডে থাকতেন। পুলিশকে ছেলে জানিয়েছেন, গতকাল রাত ৩টে নাগাদ বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তিনি বাবাকে খুন করেছেন। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, দোতলার শোওয়ার ঘরে বিছানায় পড়ে আছে প্রৌঢ়ের নিথর দেহ। কী কারণে বাবাকে খুন করেছেন ছেলে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বরানগর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা।