NOW READING:
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা মাথায় ক্লাসে শিক্ষক-পড়ুয়া, হাল ফেরানো আশ্বাস রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
June 22, 2025

বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা মাথায় ক্লাসে শিক্ষক-পড়ুয়া, হাল ফেরানো আশ্বাস রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা মাথায় ক্লাসে শিক্ষক-পড়ুয়া, হাল ফেরানো আশ্বাস রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Listen to this article


সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র, হুগলি: সম্প্রতি হুগলির পান্ডুয়া ব্লকের পাঁচপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাতা মাথায় (Hooghly School Situation) দিয়ে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের ক্লাসরুমে বসে থাকার ছবি ভাইরাল রয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারে সমালোচনা করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি IT সেলের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। সমালোচনার মাঝে দ্রুত হুগলির স্কুলগুলোর হাল ফেরানো আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

টিনের ছাউনি ফুটিফাটা, বৃষ্টির জল পড়ছে ক্লাস রুমে। ছাতা মাথায় দিয়ে শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। পড়ুয়ারাও ক্লাস করছে ছাতা মাথায় দিয়ে। হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের পাঁচপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় বেহাল। পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৮ ও শিক্ষক সংখ্যা ৪। চারটির মধ্যে দুটি ক্লাস রুমের অবস্থা খুবই খারাপ। পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা শেখ আনোয়ার আলি বলেন, “ছাতা মাথায় ক্লাসে পড়াচ্ছেন শিক্ষক,পড়ছে পড়ুয়ারা,তাদের মাথাতেও ছাতা।ঝমঝম করে বৃষ্টির জল পরছে ক্লাস রুমে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, “বৃষ্টির সময় ফুটো টিন দিয়ে পড়ুয়াদের গায়ে জল পড়ছে। আমাদের দুটো ঘর ভালো, বাকি দুটো ঘর টিনের শেড তার মধ্যে একটা ঘরের অবস্থা খারাপ, সেটাকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”

হুগলির স্কুলের ভাইরালভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, বিজেপি IT সেলের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। পাশাপাশি লিখেছেন, “এটাই পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘শিক্ষা মডেলের’ দুঃখজনক বাস্তবতা। পড়ুয়াকে ক্লাসরুমে ছাতা ধরে বসতে বাধ্য করা হচ্ছে কারণ, স্কুলের ভাঙা ছাদ দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ছে। কোথায় স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে? কোথায় বহুল প্রচারিত ‘বাংলার শিক্ষা মডেল’? যখন রাজ্য সরকার তুষ্টিকরণের প্রচার আর ছবি তোলায় ব্যস্ত, তখন পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এটা প্রশাসনহীনতা, এটা অপরাধমূলক অবহেলা।” এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সবাইকে মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে এব্ং স্কুলগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে। যতগুলো আমার পক্ষে সম্ভব, স্কুলের কিছুটা যাতে পর্যবেক্ষণ করা যায়, যাতে ঠিকভাবে স্কুলগুলো চালানো যায়।”

অন্যদিকে, বাঁকুড়ার ছাতনা বৈদ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়াল চুঁইয়ে বৃষ্টির জল পড়ছে। দেওয়ালের একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, ভিজে দেওয়ালে হাত দিলে ইলেক্ট্রিক শক খাচ্ছে পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, হুগলির মতো এই স্কুলেও মিড ডে মিলের রান্নাঘর ও বেহাল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হচ্ছে রান্না। প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী সাহা জানাচ্ছেন, “খুব কষ্ট করে বাচ্চাদের পড়াতে হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিড ডে মিলের রান্না করতে হচ্ছে।” স্কুলের সংস্কার না হওয়ায় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান চাইছেন অভিভাবকরা। এই স্কুলের এমন পরিস্থিতিক কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় বিডিও। ছাতনার বিডিও সৌরভ ধল্ল বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ত্রিপল এর ব্যবস্থা করেছি। সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করছি।”



Source link