NOW READING:
ভাতা-নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ? ‘যদি ভাতা দিতেই হয়..’
June 21, 2025

ভাতা-নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ? ‘যদি ভাতা দিতেই হয়..’

ভাতা-নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ? ‘যদি ভাতা দিতেই হয়..’
Listen to this article


কলকাতা: চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সরকারি নির্দেশিকায় শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

আরও পড়ুন, বাম আমলের OBC তালিকার ভিত্তিতেই যাদবপুরে ভর্তি ! ২০২৪ সালের হাইকোর্টের নির্দেশকেই মান্যতা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের

এদিন শুভেন্দু  বলেন,  প্রথম কথা হচ্ছে, ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে এইভাবে কখনও ১০ হাজার, কখনও ২০ হাজার, ২৫ হাজার বহু জায়গায় দিয়েছেন। এখনও দুটো একটা জায়গা এমন আছে, আমি জানি। উনি দিতে থাকেন এগুলি। এটা সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিকভাবে অপরাধ। ..এই ভাবে দেওয়া যায় না। তাই কোর্টের যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, একে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। উনি ১১ সাল থেকেই এই ধরণের অবৈধ কাজ করেন। এই প্রথম কোর্ট এটা আটকাল।..যদি ভাতা দিতেই হয়, তাহলে ২০১৬ সালে গ্রুপ C ও D-তে যতজন অ্যাডমিট কার্ড পেয়েছিলেন, প্রত্যেকের ভাতা দেওয়া উচিত। ওনার যদি টাকা এত বেশি থাকে, আমি বলব যে তিনি, যদি দিতেই চান, কেন অন্যরা নয়, কেন কেবলমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাদের চাকরিচ্যুতি হয়েছে সাময়িকভাবে, তাঁদেরকে কেন দিয়েছেন ..।’

অপরদিকে, ভাতা-নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের পরেই ফের একবার বিচারব্যবস্থার একাংশকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, কোন চেয়ার থেকে কী নির্দেশ আসবে আর বিজেপি বা সিপিএম মিষ্টি বিলি করবে, প্রেডিকটেবল হয়ে যাচ্ছে কোর্টটা, এটা দুর্ভাগ্যজনক। কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে আইনজীবীদের একাংশ। নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি ও সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বলেন, কোন চেয়ার থেকে কী নির্দেশ আসবে আর বিজেপি বা সিপিএম মিষ্টি বিলি করবে, প্রেডিকটেবল হয়ে যাচ্ছে কোর্টটা, এটা দুর্ভাগ্যজনক। 

 চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সরকারি নির্দেশিকায় শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এরপরই ফের একবার বিচারব্যবস্থার একাংশকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক  কুণাল ঘোষ বলেন, অমৃতা সিন্হা, মাননীয় বিচারপতি যে রায় দিয়েছেন, কোর্টের কোনও বিষয়, কোর্টকে আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি, অমৃতা সিন্হার রায়কে নিয়ে এইরকম কোনও মন্তব্য বা মূল্যায়ন করব না,  তবে কোর্টের কিছু কিছু চেয়ার তো প্রেডিকটেবল, কোন আইনজীবী, কোন চেয়ারকে পছন্দ করেন, কোন চেয়ার থেকে কী নির্দেশ আসবে আর বিজেপি বা সিপিএম মিষ্টি বিলি করবে, প্রেডিকটেবল হয়ে যাচ্ছে কোর্টটা, এটা দুর্ভাগ্যজনক।
 
কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে আইনজীবীদের একাংশ। আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কুণাল ঘোষ বলছেন প্রেডিকটেবল। এটা যে খারিজ হবে এটাই তো প্রেডিকটেবল ছিল। আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল বলেন, রায় পছন্দ হলেই ভাল। নাহলে খারাপ। এগুলো ঠিক নয়। দুর্ভাগ্যজনক। কুণাল ঘোষের মন্তব্য়ের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি ও সিপিএম। রাজ্য়সভার সাংসদ, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকার যখন নির্দেশ দিয়েছিল তারাও জানত। মুখ্যমন্ত্রী প্য়ারা ট্রুপার পলিটিশিয়ান নন। তিনি জানতেন কোর্টে চ্য়ালেঞ্জ হবে। তাঁকে ভাতা দিতে হবে না। তৃণমূল চাইছে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ করবে তারা। তারা রায় দেওয়ার আগে একটু জিজ্ঞেস করে নেবে। দিনকয়েক আগে OBC মামলার ক্ষেত্রে নাম করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। 



Source link