কলকাতা: ভবানীপুরে তুলকালাম। মূলত লন্ডনে কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা চিকিৎসকের সঙ্গে সুকান্তর দেখা করতে যাওয়া নিয়েই যতকাণ্ড। প্রথমে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং ওই চিকিৎসককেও ! হিটলারের আমলকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, লালবাজার জানিয়েছে, সুকান্ত মজুমদার ও চিকিৎসক রজতশুভ্র-সহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, মুম্বই, চেন্নাইয়ের পর এবার কলকাতা ও শহরতলিতে AC লোকাল ট্রেনের পরিষেবা ! জানুন কোন শাখায় চলবে ? কত দাম টিকিটের ?
এদিন ভবানীপুরেই আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতাকে। অগত্যা দেখা করতে আসেন চিকিৎসকই। এরপরেই ঘটনার মোড় ঘোরে। সুকান্ত ও রজতশুভ্র সাক্ষাৎ হতেই চূড়ান্ত অ্যাকশন নেয় পুলিশ। সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে যায় পুলিশ। দুইজনকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।শেষ অবধি পাওয়া খবরে, লালবাজার জানিয়েছে, সুকান্ত মজুমদার ও চিকিৎসক রজতশুভ্র-সহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হরিশ মুখার্জি রোডে ওই প্রতিবাদী চিকিৎসকের বাড়ি। এদিন মূলত ভবানীপুরে চিকিৎসকের বাড়িতে যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় চিকিৎসক বাড়িতে নেই, যাওয়া যাবে না, বলে এমনটাই দাবি করেন সুকান্ত। এদিকে বিজেপি ততক্ষণে স্পষ্ট দাবি জানায়, চিকিৎসক বাড়িতেই রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদারকে সব কিছু জানাবেন বলে এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। ভিডিও দিয়ে দাবি তোলে বিজেপি। অভিযোগ, এরপরেও সুকান্ত মজুমদারকে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলত দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েনের পর চিকিসকই হেঁটে আসেন সুকান্তর কাছে। মাঝরাস্তায় এরপর সাক্ষাৎ হতেই উত্তেজনা ছড়ায় ভবানীপুরে। আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় দুজনকেই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মদুমদার বলেন, ‘যেহেতু উনি (চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়) লন্ডনের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন, সেহেতু এনার জীবন ব্যতিব্যস্ত করে দেওয়ার সমস্তরকম চেষ্টা রয়েছে প্রশাসন। একজন ডাক্তারবাবু যিনি ৩০ বছর বিদেশে চিকিৎসা করে এই রাজ্যে এসেছেন। তাঁর প্রতি কী ট্রিটমেন্ট হওয়া উচিত ?! সেটা একবার ভাবুন। আমার মনে হয় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও তার প্রশাসনের মাথার ট্রিটমেন্ট করানোর প্রয়োজন আছে।’
সুকান্ত মজুমদারকে কি সৌজন্য সাক্ষাৎ এর জন্যই ডেকেছিলেন ? চিকিৎসক রজতশুভ্র মজুমদার বলেন, হ্যাঁ। ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমি মিষ্টি সাজিয়ে বসে আছি। আমরা একটু মিষ্টি খাব। কিন্তু শেষ অবধি সেটা আর হয়ে ওঠেনি বলেই উনি জানান। এখন আমার মনে হয়, ছেড়ে দিলে আমরা একটু চা মিষ্টি খেতে পারি।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে খুব একটা লাভ হবে না। আমি কী ওরা জানেই না। কিন্তু করেই ওটা। আমি কী বলব !’