লিডস: দীর্ঘ ১৪ বছর আগে, ২০১১ সালের ইংল্যান্ড (India vs England) সফরে ওভাল টেস্টের কথা মনে আছে?
মায়ামিতে ছুটি কাটাতে যাওয়া আর পি সিংহকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ইয়ান বেলের ডাবল সেঞ্চুরি। গ্রেম সোয়ানের ইনিংসে ৬ উইকেট। রাহুল দ্রাবিড়ের সেঞ্চুরি। ৪২ বল খেলে দুই ইনিংসেই সুরেশ রায়নার শূন্য। আর ইংল্যান্ডের হাতে ভারতের ৪-০ পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। এই ছিল সেই টেস্টের নির্যাস।
সেই শেষবার ভারত কোনও টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, আর অশ্বিন, অজিঙ্ক রাহানে ও রোহিত শর্মাকে ছাড়া। ১৪ বছর পর ফের এই ক্রিকেটারদের ছাড়া আরও একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। কাকতালীয় হলেও, এবারও রণক্ষেত্র ইংল্যান্ড। পাঁচ টেস্ট ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে লিডসে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন বৃত্তে দুই দলেরই প্রথম সিরিজ।
২০১১ সালের সেই অভিশপ্ত সফরের পরেই নতুন করে ঘর গোছানোর পালা শুরু হয়েছিল ভারতে। এবারও পালাবদলের পালা। একদিকে নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। অন্যদিকে এক ঝাঁক নতুন মুখ। কেউ আবার দীর্ঘ বিরতির পর ফিরেছেন জাতীয় দলে। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকে তিন কিংবদন্তি – আর অশ্বিন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি অবসর নিয়েছেন টেস্ট থেকে। তাঁদের ছাড়াই পরীক্ষা এবার ইংল্যান্ডে।
তবে ইংল্যান্ডের এই দল ২০১১, ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২১-২২ সফরের দলের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। কারণ, ওই চার সিরিজেই খেলেছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড – দুই মহাতারকা। তাঁদের ছাড়া এবার ইংরেজ পেস বোলিং কিছুটা অনভিজ্ঞ। মার্ক উড ও অলি স্টোনের চোট। গাস অ্যাটকিনসন, জোফ্রা আর্চারও প্রথম টেস্টে অন্তত নেই। ব্রাইডন কার্স ও জশ টাং – দুজনে মিলিয়ে খেলেছেন মাত্র ৮ টেস্ট। অফস্পিনার শোয়েব বসির খেলেছেন সাকুল্যে ১৬ টেস্ট।
আর ভারতের হাতে আছে যশপ্রীত বুমরা। যিনি একার হাতে সিরিজের রং পাল্টে দিতে পারেন।
শেষ পাঁচ টেস্টের তিনটিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। ভারত যেখানে জিতেছে মাত্র ১ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের ভরসা হতে পারেন পেসার ক্রিস ওকস। তাঁর সঙ্গে শুভমনের দ্বৈরথও উপভোগ্য হবে। ওকসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসও বল হাতে ভরসা।
অন্যদিকে, ভারতের ৩৭তম টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিল। ৩৩তম টেস্টে নামবেন তিনি। ব্যাট করবেন কোহলির ফেলে যাওয়া চার নম্বরে। কোহলিকে বলা হতো কিংগ। শুভমনকে বলা হয় প্রিন্স। ব্যাট হাতেও কি কোহলির যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারবেন গিল?