মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট, ১৮ জুন: ডিম বিতরণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বালুরঘাটের (Balurghat) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Balurghat Angwanwadi Center)। কথা কাটাকাটি থেকে মারামারির অভিযোগ। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ইন চার্জ নিজের মর্জি মতন চলেন, এই অভিযোগেই বিক্ষোভ অভিভাবকদের। বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন অঙ্গনওয়াড়ির হেল্পার। তা নিয়েই কথা কাটাকাটি ইন চার্জ ও হেল্পারের মধ্যে। হেল্পারকে মারধরের অভিযোগ ইন চার্জের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হেল্পার, ভর্তি বালুরঘাট হাসপাতালে, তদন্তে পুলিশ। অভিভাবকরাও এই বিষয়ে নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাট শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেনাস কালিমন্দির পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়মমাফিক শিশুদের জন্য ডিম বিতরণ চলছিল। সেই সময় ডিম দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে এক অভিভাবক প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ, উত্তরে দিদিমনি মিনতি পাল সাহা অভিভাবকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, হস্তক্ষেপ করেন কেন্দ্রের হেল্পার নন্দা পাল। অভিভাবকদের পক্ষ নিয়ে তিনি কথা বলেন। সেই ক্ষোভেই হেল্পারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দিদিমনির বিরুদ্ধে। তাঁকে দ্রুত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইঞ্জেকশন পেল রানাঘাটের ছোট্ট শিশু
রানাঘাটের একটি বিশেষ খবর, যা অবশ্যই মুখে হাসি ফোটাবে সবার। লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১০ মাস আগে। রানাঘাটের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের দম্পতির লড়াই। সন্তানের জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম। জন্মের ৬ মাস পর থেকেই বিরল রোগে আক্রান্তে ফুটফুটে সন্তান। অসুখের নাম এসএমএ (SMA) বা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি। আর এই রোগের একমাত্র ওষুধ জিনথেরাপি ইনজেকশন। যার দাম প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এই কথা শুনে মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছিল সেদিন। কিন্তু হাল ছাড়েননি তাঁরা। শুরু হয় এক কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে একে একে সামিল হন অনেকেই। ক্রাউড ফান্ডিংয়ে ১০ মাসে উঠেছে ৯ কোটি টাকা। সোশাল মিডিয়া থেকে ইউটিউব, ক্রাউড ফান্ডিং- বহু মানুষ যোগ দিয়েছিল শিশুর চিকিৎসায় যতটা সম্ভব সাহায্য করা যায়। সেখানেই এল জয়। সকলের সাহায্য, মা-বাবার জেদ আর চিকিৎসকদের সাহায্যের হাত- অবশেষে শিশুটি পেল জিনথেরাপি ইনজেকশন।
সদূর ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এসেছে জিন থেরাপি ইনজেকশন। সেই টাকাতেই জিনথেরাপি ইনজেকশন দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। জিএসটি মুকুব করেছে রাজ্য সরকারও।