NOW READING:
শুভেন্দুকে দেখে ‘চোর’ স্লোগান মহেশতলায়, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা
June 18, 2025

শুভেন্দুকে দেখে ‘চোর’ স্লোগান মহেশতলায়, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা

শুভেন্দুকে দেখে ‘চোর’ স্লোগান মহেশতলায়, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা
Listen to this article


কলকাতা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পর আদালতের অনুমতি দিয়ে মহেশতলায় শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে পা রাখা মাত্র তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হল বিরোধী দলনেতাকে। তাঁকে দেখে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান উঠল। রীতিমতো মাইক বাজিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হল ওই ধ্বনি। তৃণমূলের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি বিজেপি-র। শুভেন্দু জানান, তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তাতে সফল হবে না তারা। হিংসার বিচার হবে বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। (Suvendu Adhikari)

কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারবেন না শর্তে শুভেন্দুকে মহেশতলা যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। সেই মতো কনভয়ে চেপে বৃহস্পতিবার মহেশতলা পৌঁছন শুভেন্দু। কিন্তু সেখানে পা রাখতেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শুভেন্দুকে দেখেই ‘চোর’, ‘চোর’ রব শোনা যায়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই মাইক নিয়ে সমবেত সুরে লোকজন চিৎকার করতে শুরু করেন, “চোর চোর চোরটা, শিশিবরবাবুর ছেলেটা।” (Maheshtala Incident)

শুভেন্দুকে দেখে কেন এই বিক্ষোভ, তাতে একজন বলেন, “চোর, শিশিরবাবুর ছেলে এক নম্বরের চোর। মেদিনীপুরে অশান্তি করে, লাইট বন্ধ করে ভোটে জিতেছে। ওকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছে, ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনেননি। মেদিনীপুরে কিছু করতে পারেনি, মহেশতলায় কী করবে।” শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর কনভয়ের পথে বেশ কিছু ট্যাবলোও চোখে পড়ে এদিন, যাতে লেখা ছিল, ‘আমি হলাম গিরগিটি’।

সেই আবহে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। বলেন, “এটা ১৬৩ ধারা? ১৬৩ ধারা কি বিজেপি-র জন্য, নাকি বিরোধীদের জন্য, নাকি হিন্দুদের জন্য? অসভ্যতামির চূড়ান্ত। অন্য লোক হলে ঘুরে পালিয়ে যেত।  ঘরে পালানোর সিন নেই। সবার সঙ্গে দেখা করেছি, আহতদের বাড়িতে গিয়েছি। জোর করে অনেক দোকান বন্ধ করেছে। এখানকার মানুষকে বলে যাব, আপনারা ইনসাফ, বিচার পাবেন। আপনাদের বিচার দিতে, এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিরোধী দলনেতা যা করার করবে, আইনের মধ্যে থেকে করব।”

মহেশতলায় দাঁড়িয়ে আজও রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, “রাজীব কুমার ও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশকে বলব, ভাইপোর নির্দেশে যা করলে, তাতে সরাসরি কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করলেন। আমি পুরো ভিডিও করতে করতে এসেছি নেটার পার্ক থেকে। হাইকোর্টে ভিডিও জমা দেব। এই জন্যই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চাইছেন। আমিও বলি, রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচন না হলে, এই এলাকার মানুষকে লোকসভার নির্বাচনেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে দেওয়া হবে না।”

এক সপ্তাহ আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষে তেতে ওঠে মহেশতলা। সেই সময়ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজও যেভাবে শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়, মাইকে স্লোগান দেওয়া হয়, রাস্তায় ট্যাবলো নামানো হয়, তাতে ফের পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। 



Source link