NOW READING:
Deadly Landslide Kedarnath: ফের ধ্বংসলীলা কেদারে! মারণ ধসে মৃত্যুপুরী যাত্রাপথ! তীর্থযাত্রীরা জঙ্গল চটির কাছে পৌঁছতেই…
June 18, 2025

Deadly Landslide Kedarnath: ফের ধ্বংসলীলা কেদারে! মারণ ধসে মৃত্যুপুরী যাত্রাপথ! তীর্থযাত্রীরা জঙ্গল চটির কাছে পৌঁছতেই…

Deadly Landslide Kedarnath: ফের ধ্বংসলীলা কেদারে! মারণ ধসে মৃত্যুপুরী যাত্রাপথ! তীর্থযাত্রীরা জঙ্গল চটির কাছে পৌঁছতেই…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাত্র দু’টি দিন পরে ফের মারণ-কাণ্ড। ২০১৩ সালের ১৬ জুন দিনটিকে সম্ভবত কেউ কোনও দিন ভুলতে পারবে না। কেদারে ৬০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল এক ভয়ংকর ফ্ল্যাশফ্লাড তথা (Kedarnath Deadly Flash Flood) ভূমিধসের জেরে। আর এর ১২ বছর ২ দিন পরে, আজ, এই ২০২৫ সালের ১৮ জুনে ফের ধস (Kedarnath Landslide) ফের মৃত্যু।

আরও পড়ুন: Ambubachi 2025 Dates: অম্বুবাচী কবে? কত দিন চলবে? কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় এই উপলক্ষে? জানুন ঋতুরক্তের গোপন রহস্য…

আরও পড়ুন: Kedarnath Helicopter Crash: ৮ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে ১৩ মৃত্যু! কেন বারবার কেদারে কপ্টার ভেঙে পড়ছে, কেন এই পথসংকট? মহাদেবের…

ফের দুর্ঘটনা

আজ, বুধবার কেদারনাথে ফের দুর্ঘটনা। যে-পথে সাধারণত কেদারমন্দির অভিমুখী ভক্তেরা ট্রেক করে মন্দির দর্শনে যান, সেই পথে জঙ্গল চট্টি বলে একটি জায়গা আছে। সেখানেই এক মর্মান্তিক ধসে মারা গিয়েছেন দুই ব্যক্তি। তিনজন আহত হয়েছেন। প্রায় একই রকম ঘটনায় ১৫ জুন জঙ্গলচট্টির কাছে ধস নেমে একজনের মৃত্যু ঘটেছিল, আহত হয়েছিল দুই তীর্থযাত্রী। 

চারধাম যাত্রা

চারধাম যাত্রার সময়ে বরাবরই উত্তরাখণ্ডে প্রবল জনসমাগম ঘটে। এবারও গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। সাধারণত গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী খুলে গেলেই চারধাম যাত্রার শুরু। এবার কেদারনাথ খুলেছে ২ মে, ৪ মে খুলেছে বদ্রীনাথ ধামের দরজা। 

২০১৩ সালে

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালেও এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেছিল কেদারে। তবে তার সঙ্গে এক দেবীর কাহিনি জড়িত। অলকানন্দার উপর একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হচ্ছিল। নির্মাণ সংস্থা সেই প্রকল্পের প্রয়োজনে ধারীদেবীর মন্দিরস্থল অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিত সম্প্রদায় তা মেনে নিতে চাননি। এমনকি স্থানীয় মানুষও তা মেনে নেননি। বলা হয়েছিল, মা ধারীদেবীকে তাঁর অধিষ্ঠানস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন স্বয়ং মা। আর তাঁর রোষ ভয়ংকর ব্যাপার! ২০১৩ সালে ঠিক যে-সময় তাঁর মন্দির সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেই সময়েই কেদারে ওই ভয়ংকর ফ্ল্যাশ ফ্লাড ঘটেছিল। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি দেবী ফিরলেন তাঁর অবস্থানে। ন’বছর পরে। উত্তরাখণ্ডের মানুষ এর জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন।  

মূল শিলা থেকে সরিয়ে
 
আসলে প্রজেক্ট কোম্পানির লোকজন মূল শিলা থেকে দেবীকে একরকম উৎখাত করেছিলেন। তাঁরা মন্দিরটাকে উঁচুতে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। গাড়োয়ালের মানুষ সেটা মোটেই ভালো চোখে নেননি। তাঁরা, কোনও একটা বড় ধরনের বিপর্যয় এর জন্য ঘটে যেতে পারে বলে সতর্কও করেছিলেন কোম্পানিকে। কিন্তু কোম্পানি তাঁদের কথায় কান দেয়নি। ধারীদেবীর মূর্তি ২০১৩ সালের ১৬ জুন ‘আপলিফ্ট’ করা হয়েছিল। আর ওই একই দিনে কেদারের ভয়াবহ বিপর্যয়। শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে মৃত্যু ঘটেছিল। ধ্বংস, তছনছের ইয়ত্তা ছিল না। মানুষ মনে করেন, সবটাই ঘটেছিল মা ধারীদেবীরে রোষে। 

সত্যিই?

তবে উল্টো তত্ত্বও আছে। ধারীদেবী মন্দির সংলগ্ন এক সন্ন্যাসী আশ্রম আছে। অলকানন্দার ধারে সেই আশ্রমবাড়ি। সেখানকার মহারাজ ব্যাখ্যা করছিলেন, ব্যাপারটা এমন নয়। দেবীর মূর্তি সরানো হয়নি। তাছাড়া এই তীর্থ সিদ্ধপীঠের মধ্যে পড়ে বলেও কোনও শাস্ত্রীয় নজির চোখে পড়েনি। হতে পারে, যে-পুরোহিত সম্প্রদায় এই মন্দির পরিচালনা করে তারা এই দেবীর মহিমা প্রচারের জন্য এমন করেছে। এর সঙ্গে কেদারের বিপর্যয়ের কোনও যোগ নেই। কে জানে, প্রকৃত রহস্য!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link