কলকাতা : IC-কে কদর্যভাষায় হুমকির ঘটনায় দায়সারা ক্ষমাতেই কেষ্টকে ছাড়! কুকথা-বিতর্কের মধ্যেই কলকাতায় দলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, IC-কে কদর্যভাষায় ভাষায় আক্রমণে লজ্জিত বলে সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন কেষ্ট। পরে এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অনিল বসুর সময় তো এই প্রশ্নটা করেননি। বিনয় কোঙারের সময় তো এই প্রশ্নটা করেননি। বিজয়বর্গী (বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়)-র সময় তো এই প্রশ্নটা করেননি। শুধু তৃণমূল কংগ্রেস করলে দোষ ? সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে ? যেটা করেছেন (অনুব্রত মণ্ডল) সেটাকে আমরা কেউ সমর্থন করি না। কেউ সমর্থন করি না। তাঁকে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে…লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, উনি আর এই ভুলটা রিপিট করবেন না।”
হুমকি, শাসানি, দুর্নীতি, গ্রেফতার— এসবের জন্য়ই বারবার শিরোনামে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এবার তিনি যে ভাষায় এক পুলিশ অফিসারকে হুমকি দিয়ছেন, তা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি বোলপুর থানার IC-কে ফোনে গালিগালাজ করে, হুমকি দিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুর থানার IC লিটন হালদারকে কদর্য ভাষায় হুমকি দেন অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশকে কুরুচিকর আক্রমণের পরে এদিন প্রথমবার দলীয় নেতৃত্বের মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার প্রাক্তন সভাপতি।
২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক সারতে এদিন ভবানীপুরে ডেকেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সেখানে ডাকা হয়েছিল সমস্ত জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানদের। বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্যরাও এই বৈঠকে যোগ দেন। প্রস্তুতি বৈঠকের আগে বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাসরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, পুলিশকে কদর্যভাষায় আক্রমণ করাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তার জন্য সেখানে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন অনুব্রত মণ্ডল।
ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এত কিছুর পরেও ফিরহাদ হাকিম সাহেবরা এটাকে কোনো দোষ হিসাবে ধরছেন না। তার কারণ হচ্ছে আমি প্রথমেই বলেছিলাম, আপনারা যদি ভাবেন যে শুধুমাত্র কেষ্ট এই ধরনের কথা পুলিশকে বলেছেন, তাহলে আপনারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। প্রত্যেকটি তৃণমূল নেতা এ ধরনের কথা বলেন। যে কাজটা আপনি রেগুলার করেন, সেই কাজটা আপনার অন্যায় বলে মনে হবে না। তাই ফিরহাদ হাকিম সাহেব বা ওঁদের এই কাজটাকে অন্যায় বলে মনে হচ্ছে না।”