কলকাতা: মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন করিশ্মা কপূরের (Karishma Kapoor) প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূর (Sunjay Kapur)। পেশায় ব্যবসায়ী হলেও, সঞ্জয় কপূরের ব্যক্তিগত জীবন ছিল সবসময় চর্চায়। বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল। করিশ্মা কপূরই সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী ছিলেন না। এর আগে ফ্যাশন ডিজাইনার নন্দিতা মহতানির সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল সঞ্জয়ের। ১৯৯৬ এ নন্দিতা মহতানির সঙ্গে প্রথম বিবাহ সঞ্জয়ের। তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিবাহ। নন্দিতা মহতানির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় সঞ্জয়ের। এরপরে করিশ্মাকে বিবাহ করেন সঞ্জয়। তবে নন্দিতা মহতানি যে কেবলমাত্র সঞ্জয়ের পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন, তা একেবারেই নয়। নন্দিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। বিনোদন থেকে শুরু করে ক্রীড়া দুনিয়া, সব জায়গাতেই অবাধ যাতায়াত ছিল নন্দিতার। কাজ করেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), দিনো মোরিয়া (Dino Morea)-র সঙ্গেও।
শোনা যায়, দিনো মোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। তিনি ও দিনো মোরিয়া মিলে একটি ফ্যাশন কোম্পানিও খুলেছিলেন। তাঁরা দুজনে একসঙ্গে কাজও করতেন। তবে দিনো মোরিয়ার সঙ্গে নন্দিতার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপরে বিদ্যুৎ জামওয়ালের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল নন্দিতার। শোনা গিয়েছিল, তাঁদের নাকি বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। তবে তারপরেও নন্দিতার সঙ্গে বিদ্যুৎ-এর সম্পর্ক ভেঙে যায়।
নন্দিতা মহতানি বিরাট কোহলির স্টাইলিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলিকে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অন্যতম স্টাইলিস্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। বিরাট কোহলিকে জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাও জানাতেন নন্দিতা। ভাইরাল হত সেই পোস্ট ও। নন্দিতার নাম জড়িয়েছিল করিশ্মার ভাই রণবীর কপূরের সঙ্গেও। শোনা গিয়েছিল একটা সময়ে রণবীর কপূরের সঙ্গেও নাকি ডেট করতেন নন্দিতা। তবে তাঁর কোনও সম্পর্কই পরিণতি পায়নি। সদ্যই আবার খবরে এসেছিলেন নন্দিতা। তিনি অদাহ শর্মার সঙ্গে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ও সেখানে কর্ণ জোহরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে করিশ্মা ও সঞ্জয়ের বিবাহ হয়েছিল। ২০১৬ সালে লম্বা আইনি লড়াইয়ের পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এখন ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আলাদাই থাকছিলেন করিশ্মা। অন্যদিকে সঞ্জয় বিয়ে করেছিলেন মডেল পিয়া সচদেবকে। আমদাবাদে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক প্লেন দুর্ঘটনার কথা শুনে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট ও করেছিলেন সঞ্জয় কপূর। কিন্তু তখন সম্ভবত তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি যে আমদাবাদ ফ্লাইট দুর্ঘটনার দিনটি তাঁর জীবনেরও শেষ দিন হবে।