মুম্বই: ৯ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রাপথ শেষ হয়ে গেল মাত্র কয়েক সেকেন্ডে। গুজরাতে ভেঙে পড়া বিমানে মৃত্যু মিছিল। সূত্রের খবর, বিমান বিপর্যয়ের আগে পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল-কে বিপদবার্তা পাঠিয়েছিলেন। পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে ATC যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর সাড়া মেলেনি তাঁদের। শুক্রবার সকাল আটটায় আমদাবাদে পৌঁছবেন নরেন্দ্র মোদি। এদিকে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় খুড়তুতো ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ‘টুয়েলভথ ফেল’ খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি।
আরও পড়ুন, ‘দুর্ঘটনাকে কেউ আটকাতে পারে না, বাঁচানোর সুযোগটুকুই মেলেনি..’, দুর্ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। ইন্সস্টাগ্রামে শোকপ্রকাশ করে অভিনেতা জানিয়েছেন, আজ আহমেদাবাদের এই বিমান দুর্ঘটনা খুবই হৃদয়বিদারক। নিহতদের পরিবারকে তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ওই বিমান দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর খুড়তুতো ভাই ক্লাইভ কুন্ডারকেও হারিয়েছেন। ইশ্বর কাকাকে শক্তি দিক। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
DGCA-এর তরফে জানানো হয়েছে, আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই বিমানে ছিলেন মোট ২৪২ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু DGCA সূত্রে খবর বিমানে ভারতীয় যাত্রী ছিলেন ১৬৯ জন, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ১ জন কানাডার নাগরিক ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন।বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যাত্রীবাহী ওই বিমানে বহু বিদেশি নাগরিকেরাও ছিলেন। সেই সংক্রান্ত সমস্ত খবরাখবর আপনারা সংশ্লিষ্ট দফতর- অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়, এয়ার ইন্ডিয়া ও অন্যান্য দফতর থেকে পাবেন।
আমদাবাদ-ব্রিটেন এটা অত্য়ন্ত ব্য়স্ত রুট!ড্রিমলাইনার অত্য়াধুনিক বিমান বয়স হয়েছিল মাত্র ১১ বছর বিমানটি চালাচ্ছিলেন যিনি, সেই পাইলটও ছিলেন অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ। সূত্রের খবর পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়ালের ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল কো পাইলট ক্লাইভ কুন্দরের বিমান চালিয়েছেন ১ হাজার ১০০ ঘণ্টা।তাহলে প্লেন ভেঙে পড়ল কী করে? কী কারণ? সূত্রের খবর, বিমান ভেঙে পড়ার আগে পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)-কে বিপদাবার্তা পাঠিয়েছিল (মে ডে কল)। পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে ATC যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর সাড়া দেয়নি তারা। তার পরই বিমান ভেঙে পড়ার খবর জানা যায়।
সেনার পাশাপাশি উদ্ধার কাজে নামে NDRF-এর তিনটি দল, এবং CRPF। অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেন, ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, NDRF, রাজ্য পুলিশ, চিকিৎসকরা এবং বিমান পরিবহণের সবাই তাঁদের সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও RPF-কে পাঠায় পশ্চিম রেলও।