জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেঘালয়ে সোনম রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন করে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে। ঘটনাস্থলে থেকে সোনম ও আর ইন্দোরে বসে সোনমের প্রেমিক রাজ সুপারি কিলারের সাহায্যে ওই নারকীয় ঘটনার বাস্তবে রূপ দেয়। এবার উঠে এল ত্রিপুরায় এক রোমহর্ষক ঘটনা। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন তরতাজা যুবক। উঠে এল ত্রিকোণ প্রেমের তত্ব।
বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন সরিফুল ইসলাম(২৪) নামে এক যুবক। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান সরিফুল করতেন ত্রিপুরা স্মার্ট সিটি প্রকল্পে। তাঁকে খুঁজে বের করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের কাহিনী। সরিফুলের দেহ পাওয়া যায় আগরতলা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে গন্ডাচেরার একটি আইস ক্রিমের দোকানের ফ্রিজারে। সরিফুলের দেহ একটি ট্রলি ব্যাগে পুরে সেটি রেখে দেওয়া হয়েছিল ওই ফ্রিজারে।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হয়েছেন সরিফুল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিস সুপার কিরণ কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সরিফুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ২০ বছরের এক তরুণীর। কিন্তু ওই তরুণীর উপরে নজর ছিল সম্পর্কে তার এক তুতো ভাইয়ের। সম্প্রতি সরিফুল ও তার বান্ধবীর মধ্যে কথাবর্তা বন্ধ হয়ে যায়। সেই কথা জানতে পেরেই সরিফুলকে খুনের ছক কষে ফেলে ওই তরুণীর তুতো ভাই।
আরও পড়ুন- আগামী ৩ দিন টানা ঝড়বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ভারী বর্ষণ উত্তরবঙ্গেও
আরও পড়ুন-অমানবিক! ক্যানসারে মৃত বোনের দেহ নিল না দাদা-বৌদি, ৬ ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে রইল মৃতদেহ
কীভাবে খুন
মূল অভিযুক্ত ওই তরুণীর তুতোভাই দিবাকর সাহা(২৮)। বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পাস করে সে সম্প্রতি ফিরছে। গত ৮ জুন সে কায়দা করে সরিফুলকে দক্ষিণ ইন্দিরানগরের জয়দীপ দাস(২০) নামে এক যুবকের বাড়িতে ডাকে। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল অনিমেশ যাদব(২১) ও নবনীতা দাস(২৫) নামে আরও দুজন। সরিফুল আসতেই ৩ জনের সাহায্য নিয়ে সরিফুলকে শ্বাসরোধ করা হয়। আগে থেকেই একটি ট্রলিব্যাগ আনা ছিল। সেই ট্রলিতে তারা সরিফুলের দেহ ঢুকিয়ে দেয়। এরপর মূল অভিযুক্ত দিবাকর সাহা তার বাবাকে ডাকে। ঘটনার পরদিন দিবাকরের বাবা দীপক সাহা ও মা দেবীকা সাহা গন্ডাচেরা থেকে গাড়ি নিয়ে আগরতলায় আসে। তারপর ওই ট্রলি তাদের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। গন্ডাচেরায় নিয়ে গিয়ে সেই ব্যাগ রাখ হয় তাদের দোকানের ফ্রিজারে। সেই দেহ বুধবার উদ্ধার করেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, খুনের কারণ অত্যন্ত গুরুতর। ওই তরুণী সম্প্রতি তার বাবাকে হারিয়ে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছিল। সেই সুযোগে তাকে যৌন নিগ্রহ করার চেষ্টা করে দিবাকর। কিন্তু তাকে পাত্তা দেয়নি ওই তরুণী। তার পরেই অভিযুক্তের মনে হয় যতদিন সরিফুল বেঁচে থাকবে ততদিন তারা আশা পূর্ণ হওয়ার নয়। তাই সরিফুলকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে ফেলে দিবাকর।
সরিফুলের পরিবার পুলিসে নিখোঁজ ডাইরি করার পর তদন্তে নেমে অভিয়ুক্তকে জিজ্ঞসাবাদ করে। তার পরেই বেরিয়ে আসে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)