কলকাতা: একটা সময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। একজন দুঁদে পরিচালক, আর একজন দুঁদে অভিনেত্রী। দুজনেই রূপোলি পর্দার অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন। আর ‘আমার বস’ (Amar Boss)-এর সেটে দেখা হল দুই বর্ষীয়ানের। রাখি গুলজার (Rakhi Gulzar) আর পরিচালক প্রভাত রায়ের (Prabhat Roy)। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) ও নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy)-এর সিনেমা ‘আমার বস’-এর জন্য কলকাতায় শ্যুটিং করছিলেন রাখী গুলজার। সেই সময়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, প্রভাত রায়। দুজনেই একটা সময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন। ‘জিন্দেগানি’-র মতো ছবিতে প্রভাত রায়ের পরিচালনায় কাজ করেছেন রাখী গুলজার। দীর্ঘদিন পরে দেখা হওয়ায় প্রভাত রায় ও রাখী গুলজার, আগের মতোই প্রাণোচ্ছল। শ্যুটিং থামিয়ে গল্প জুড়েছিলেন দুজনেই। এদিন প্রভাত রায়ের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে একতা ভট্টাচার্য-ও। তিনিও রাখী গুলজারের সঙ্গে আলাপ করেন।
দীর্ঘদিন পরে বাংলা ছবিতে কাজ করলেন রাখী গুলজার। শুধু বাংলা ছবি কেন, দীর্ঘদিন হিন্দি ছবিতেও দেখা যায় না তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরেই রূপোলি পর্দা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন রাখী গুলজার। ‘আমার বস’-এর হাত ধরে বাংলায় ফিরেছেন তিনি। দর্শকদের মধ্যে সাফল্যও পেয়েছে এই ছবি। দর্শকেরাও রাখী গুলজারকে দীর্ঘদিন পরে পর্দায় দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন প্রেক্ষাগৃহে।
রাখী গুলজার কেন বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করছেন না? বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর? এবিপি লাইভ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাখী গুলজার বলেছিলেন, ‘না! কে এই প্রজন্মে আসছে, তারা কি কাজ করছেন, এসব আমি কিচ্ছু দেখি না। আমায় অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনি আপনার মেয়ের ছবিতে কাজ করছেন না কেন? আমার মেয়ের ছবিতে যদি আমার কোনও কাজ না থাকে, আমি কি ওর গলা চেপে ধরব? আমায় প্লিজ একা ছেড়ে দিন। আমি নিজেই যথেষ্ট। আমার তো একটা আলাদা জগৎ রয়েছে। আমার পড়ার জগত, আমার দেখার জগৎ.. চোখ বোজার আগে এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি আছে। কাজ করতেই হবে এটার কোনও মানে আছে? এটা কেন মানুষ বোঝে না যে অফিসে কাজ করার একটা নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। ৬৫ বছর বয়সে তোমাকে ছাঁটাই করে দেবে। অভিনয়ে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রগুলো বদলে যায় কেবল। কেউ বুড়ি হয়েও কমবয়সি হয়ে কাজ করতে চায়, অস্ত্রোপচার করে, মেক আপ করে। সেটা আরোপিত। আমি আমার নিজের বুদ্ধিতে কথা বলছি। যদি বয়স হয়ে গিয়ে থাকে, বয়সটাকে দেখাও।’