নয়াদিল্লি: বছর পেরোলেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তার আগে তিনটি বড় বিষয় ঘটে গিয়েছে। এক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। অবৈধভাবে বহু সাধারণ মানুষ সীমান্ত পার করে এদেশে চলে এসেছে। আর তাঁদের ধরতে গিয়ে বেরিয়েছে আরও একাধিক অনুপ্রবেশকারীর হদিশ। যারা বাংলাদেশ অশান্তির সময় বঙ্গে প্রবেশ করেনি। বরং তার অনেক আগেই এদেশে ঢুকে বসে আছে। এবং তার ঠিক গা ঘেষে আরও একটি ইস্যু হল ওয়াকফ অশান্তি। যাকে ঘিরে হিংসার আগুন জ্বলেছিল মুর্শিদাবাদে। রইল বাকি এক তা হল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ। এবার কথা হচ্ছে এই তিনটি বিষয়ই হয়েছে ভোটের আগে। এবং সাম্প্রতিককালের অন্যতম সাড়া ফেলে দেওয়া আরও একটি ইস্যু হল নিউটনের কীর্তি। এদিন এবিপি লাইভ কনক্লেভে বাংলায় কী অবস্থা এইমুহূর্তে ? প্রশ্ন উঠতেই কটাক্ষের বন্যা বইয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, পেরোল ১০ মাস, টালা থানা অভিযানে অভয়া মঞ্চ ; RG কর হাসপাতালের গেটে আটক মিছিল
পশ্চিমবঙ্গে কী চলছে এখন ? এবিপি লাইভ কনক্লেভে এই প্রশ্নে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর কথায়, বাংলা তো রেকর্ড করে ফেলল।’ এরপরেই তিনি তুললেন বাংলাদেশের নাগরিক তথা ভুয়ো ভোটার নিউটন দাসের প্রসঙ্গ। মূলত সে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ! গত বছর বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের সময় সেখানকার রাস্তায় একের পর এক ছবি। এই নিউটন দাসেরই নাম পাওয়া গেছে ভারতের ভোটার তালিকায়। তিনি কাকদ্বীপের ভোটার বলে স্বীকার করে নিয়েছেন নিউটন নিজেই। এ দেশের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি ভোটারের উপস্থিতি নিয়েও অস্বস্তিতে তৃণমূল।
সুকান্ত মজুমদারের কথা, নিউটন বলে একজনের ছবি ধরা পড়েছে। যে বাংলাদেশে গিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সরাতে, আন্দোলন করছিল। এরই সঙ্গে বের হয় আরও একটি খবর, সেই নিউটন নাকি পশ্চিমবঙ্গের ভোটারও। এরপরেই সুকান্তর প্রশ্ন এমন (নিউটন দাস) আন্তর্জাতিক কার্যকর্তা কোন পার্টির আছে ? তৃণমূলের কর্মীও সে। তাই ভারতে তৃণমূল একমাত্র দল, যাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিত।’ তিনি আরও অভিযোগ তুলে বলেন, ওখানের প্রশাসন এমন, যারা শাসকদলের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারে না। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, তিনি আমার জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে গেলে, আমাকেই ডাকেন না। এমন প্রশাসনিক বৈঠক দেশের আর কোথাও কি হয়, যেখানে বিরোধী দলকে ডাকাই হয় না। ‘ !
পশ্চিমবঙ্গে ভোট হোক কিংবা বড় ইভেন্ট, সবক্ষেত্রেই সেখানে হিংসার ঘটনা দেখা যায়। কিছুদিন ওয়াকফ বিল নিয়ে অশান্তি ছড়িয়েছিল। এর প্রকৃত কারণ কী ? সুকান্ত স্পষ্ট জবাব, এই ইস্যুতে রাজনীতি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’