বারাসাত: এক মহিলার মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হল বারাসাতে (Barasat)। সেই মহিলাকে নৃশংসভাবে খুব করা হয়েছিল। সন্দেহের তালিকায় সেই মহিলার স্বামী। রবিবার রাতে সেই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার কম্বল মোড়া পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল বারসাত থানার পুলিশ। বারাসাত থানার পুলিশ সূত্রে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল। বারাসাত পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনীপল্লীর মানিক নগর এলাকার ঘটনা এটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, গত দুদিন ধরেই সেই মহিলার স্বামী ঘরে ছিলেন না। এলাকায় তাঁকে দেখা যায় নি। এরপর রবিবার রাতে স্থানীয়রা সেই ঘর থেকে পচা গলা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর পুলিশের অনুমান শ্বাসরোধ করে সেই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। মহিলার স্বামী পেশায় গাড়ি চালক বিজু সাহাকে রাতে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বারাসাত থানার পুলিশ।
রাজা রাজবংশী হত্যায় গ্রেফতার তাঁর স্ত্রী সোনম
এদিকে, ইন্দোরে রাজা রঘুবংশী হত্যার ঘটনায় এবার তাঁর স্ত্রী সোনম রাজবংশীকে গ্রেফতার করা হল। তিনিই ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, আগাগোড়াই সোনম রঘুবংশী ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। সে-ই ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে নিয়ে শিলং যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজাকে হত্যার পর, সোনম এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা এক সঙ্গেই ট্রেনে ওঠে। পুরো ঘটনাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। উদ্দেশ্য ছিল রাজাকে হত্যা করা।
ইনদৌরের রাজা এবং সোনম রঘুবংশী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১১ মে। ৯ দিন পর ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় যান। অসমে মা কামাখ্যার দর্শন করেন তাঁরা। এরপর ২৩ মে মেঘালয়ের শিলংয়ে পৌঁছান। বেড়ানোর সময় দুই পরিবারের সঙ্গেই তাঁদের দুজনের সঙ্গে কথা বলত দুবেলাই। কিন্তু হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তাতেই চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। অনেক চেষ্টা করার পরেও যখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তখন সোনমের ভাই গোবিন্দ এবং রাজার ভাই বিপিন জরুরি বিমানে শিলং আসেন। পুলিশে অভিযোগ জানান। তখন এনডিআরএফ এবং পুলিশ অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেন। এর আট দিন পর রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ একটি গভীর খাদে পাওয়া যায়। কিন্তু নিরুদ্দেশ ছিলেন সোনম ।