NOW READING:
‘অবিলম্বে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে’, সশরীরে হাজির দাপুটে তৃণমূল নেতা ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শহরে
June 9, 2025

‘অবিলম্বে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে’, সশরীরে হাজির দাপুটে তৃণমূল নেতা ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শহরে

‘অবিলম্বে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে’, সশরীরে হাজির দাপুটে তৃণমূল নেতা ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শহরে
Listen to this article



<p><strong>অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা :</strong> বাড়ি মেরামতির কাজ শুরু করতেই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সশরীরে এসে ৩০ হাজার টাকা তোলা চান। শাসক দলের প্রাক্তন বিধায়ক এবং উত্তর কলকাতার দাপুটে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বক্সীর বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন কলকাতার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সীমা সিং। ইতিমধ্যেই গিরিশ পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি। সঞ্জয় বক্সী ও স্মিতা বক্সীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সোজা মেয়রকে চিঠি লিখলেন খোদ ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরও।&nbsp;</p>
<p>নিজের বাড়ি মেরামতির কাজ শুরু করেছিলেন বলরাম দে স্ট্রিটের বাসিন্দা সীমা সিং। কিছুদিন পরেই প্রথমে লোক পাঠিয়ে এবং তারপর সশরীরে শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক এসে হাজির হন। দাবি করেন, মেরামতির কাজ চালিয়ে যেতে গেলে অবিলম্বে দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। সেইসঙ্গে সীমা সিংকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মেরামতির কাজের জন্য শ্রমিক থেকে শুরু করে যাবতীয় সামগ্রীও নিতে হবে। গত মে মাসের ৫ তারিখ সঞ্জয় বক্সীর নাম ও এইসব অভিযোগ উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগপত্র গিরিশ পার্ক থানায় জমা দেন সীমা সিং। তাঁর আরও অভিযোগ, নেতাকে কেন টাকা দেবেন বলে প্রশ্ন করায় সঞ্জয় বক্সীর হুমকি ও গালিগালাজের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।&nbsp;</p>
<p>ওয়ার্ডের বাসিন্দার কাছে দলের নেতার টাকা চাওয়ার ঘটনার কথা জানতে পেরে আলাদা করে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর রাজেশ সিং। সেই চিঠিতে সরাসরি সস্ত্রীক প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সঞ্জয় ও স্মিতা বক্সীর বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজেশ সিংহ বলেন, "বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা এখানে আমাকে ফোন করলেন যে, ১৩৮ বলরাম দে স্ট্রিটে ডিজি বিল্ডিংকে স্মিতা বক্সী ফোন করে বলেছেন যে, ওখানে ৩ তলা বেআইনি ঢালাই হয়ে গেছে। ডিজি আমাদের বলেছেন ওখানে এখনই গিয়ে নোটিস করে এফআইআর করে দিন। আমি ওঁদের বললাম, নিশ্চয়ই যান। যদি কোনো বেআইনি হয়ে থাকে নিশ্চয়ই যা যা করণীয় করবেন। ওঁরা এসে দেখলেন এখানে কোনো বোইনি কাজ হচ্ছে না। কাজ ওঁরা অনেকদিন ধরে বন্ধই করে রেখেছে। তাঁদের বোধ হয় বাড়িতে বিয়ে আছে। বিহারে গেছে। আর যা করছিলেন সেগুলো আইনের ভিতরে।"</p>
<p>যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সঞ্জয় বক্সী। তিনি বলেন, "আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, আমার দল জানে…আমার দলের যাঁরা নেতা সাবই জানেন ৩০ হাজার টাকা আমি ঘুষ নিতে বা কাটমানি নিতে যাব …এ অপ্রাসঙ্গিক। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।"&nbsp;&nbsp;</p>
<p>আবার দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, "ওই জায়গাটায় তৃণমূল খুব দুর্বল। ওই ওয়ার্ডয়ায় রেকর্ড ভোটে লোকসভায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। যে কাউন্সিলর চিঠি দিচ্ছেন, তাঁর ওয়ার্ডে রেকর্ড ভোটে পিছিয়ে আছে তৃণমূল। ফলে, নিবিড় জনসংযোগ দরকার। কে কীভাবে কেন কী হল দেখা উচিত। "&nbsp;</p>
<p>অভিযোগকারিণী পারিবারিক অনুষ্ঠানে বিহারে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।&nbsp;</p>



Source link