<p><strong>সুনীত হালদার, ডোমজুড়:</strong> খড়দার তরুণীকে ডোমজুড়ে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযুক্ত আরিয়ান এবং তার মায়ের একের পর এক গুণের কথা তুলে ধরছেন ডোমজুড়ে বাসিন্দারা। এমনকী বাড়ি ভাড়ার টাকাও দিত না বলে দাবি করেছেন বাড়ি মালিকের। </p>
<p>বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে কাজ দেওয়ার নাম করে আটকে রাখা হয়েছিল খড়দার তরুণী। মাসের পর মাস তার উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীর উপর নজরদারি চালাতে ফ্ল্যাটের চারপাশে প্রচুর সিসিটিভি লাগিয়েছিল অভিযুক্ত আরিয়ান ও তার মা। স্থানীয়দের অভিযোগ মধুচক্র চালানো হত। কখনও বা মাঝরাতে, কখনও আবার ভোরে বাড়ি ফিরত মা-ছেলে। এলাকায় আসতেন বাইরের লোকজন। প্রতিবাদ করলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত আরিয়ান ও তার মা। বাড়ির মালিকে অভিযোগ গত দশ বছর ধরে বাড়ি ভাড়াই দেয়নি অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত মহিলা কখনও দাবি করেছে সিনেমায় অভিনয় করে, কখনও আবার বলেছে সে ইউটিউবার। আরিয়ান ও তার মায়ের বিরুদ্ধে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়রা। মা-ছেলের আচরণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। </p>
<p>স্থানীয় বাসিন্দা সাকিবা বেগম বলেন, "পুলিশকে টাকা দিয়ে রাখত। কেউ ঢুকতে পারে না ঘরে। কুকুর পুষে রেখেছে। ঘরে একে তাকে নিয়ে আসে। পর্নোগ্রাফি করে। দিঘায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়, এসব করার জন্য। মেয়ে তো মরেই গেল মায়ের জন্য। মা মেয়েকে নোংরা পথে ঢুকিয়েছিল। তাই জন্য মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।” ওই বাড়ির মালিক আমিনা বেগমের অভিযোগ, "দশ বছর হয়ে গেছে ভাড়া দেয়নি। জল খায়, তারও পয়সা দেবে না। উল্টে ঝগড়া করবে। কেস দেবে। কে কী করছে না করছে নজরদারি করতে সিসিটিভি লাগিয়েছে। সারারাত থাকত না, ভোরে ফিরত। কী করত বলতে পারব না। ও বলত আমি হিরোইন। </p>
<p>গতকাল সন্ধেয় হাওড়া সিটি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল এই ফ্ল্যাটে আসে। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ ছিল। মা এবং ছেলে কারও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। </p>
Source link
দিত না বাড়ি ভাড়া, চরম পরিণতি মেয়েরও, তরুণীকে নির্যাতনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা
