NOW READING:
সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুভেন্দুকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট তৃণাঙ্কুরের, পাল্টা হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার
June 8, 2025

সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুভেন্দুকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট তৃণাঙ্কুরের, পাল্টা হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার

সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুভেন্দুকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট তৃণাঙ্কুরের, পাল্টা হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার
Listen to this article


কলকাতা: এবার তরজা শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের। এবার বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির। থেমে থাকেননি শুভেন্দুও। তিনিও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে যে তৃণাঙ্কুরকে এর ফল ভুগতে হবে। তবে পাল্টা মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ”অত্যন্ত নিম্নমানের, AI প্রয়োগ করে তৃণমূলের এই কর্মচারী এই কাজটা ভাইপোর কথায় করেছে। আমি মুখে কিছু বলব না। আমি ওর মালিককে হারিয়েছি। মমতা বন্দ্যােপাধ্য়ায়কে হারিয়েছে। তাই তৃণাঙ্কুরের সম্পর্কে বললে ওর মাইলেজ বেড়ে যাবে। ও তো আগে চুন আর ব্লিচিং সাপ্লাই করত। একজন হিন্দু বাড়ির ছেলেকে যেভাবে আস্থায় আঘাত করেছে। তার ফল ওকে ভুগতে হবে।”

তৃণূাঙ্কুর এবিপি আনন্দকে ফোনে জানিয়েছেন, ”আমার নামও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আমার বাড়িতে কালীপুজো হয়। পুরনো শিবমন্দির রয়েছে। আমার বাড়ির পৈতৃক ব্যবসা রয়েছে ৫০ বছরের। আমি কোনও চুন-ব্লিচিং সাপ্লাইয়ের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে নই। না শুধরোলে ওনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”

এদিকে, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে যেভাবে কু-কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তা কালীগঞ্জ নির্বাচনের আগে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। রীতিমতো তাঁর মা-বউয়ের প্রসঙ্গ তুলে নোংরা কথা এবং গালিগালাজ দিতে শোনা যায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। রীতিমতো বাছা বাছা শব্দ শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। এমন শব্দবন্ধ দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা ব্যবহার করেন যা সম্প্রচারেরও অযোগ্য। মহিলার অসম্মানের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগেও প্রচারেও হাতিয়ার হতে চলেছে এই ইস্যু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বোলপুরের IC-র মা এবং স্ত্রীকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে। ৯ তারিখ বোলপুরের মানুষ পথে নামবে। আমরা ওখানে ওইদিন নারী সম্মান যাত্রা করছি।”

অনুব্রত মণ্ডলকে গত শনি ও রবিবার তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেখানে যাননি তিনি। অথচ, শনিবারই দিব্য়ি তৃণমূলের পার্টি অফিসে পৌঁছে গেছিলেন তিনি। ঘটনার ৭ দিন পর অবশেষে গতকাল বীরভূমের SDPO অফিসে হাজিরা দেন কেষ্ট। সেখানেও ছিল টানটান চিত্রনাট্য, কাক-পক্ষীতেও যাতে টের না পায়, তারজন্য কার্যত লুকিয়ে ঢোকেন পিছনের গেট দিয়ে। শুধু তাই নয়, হাজিরা দিতে গেলেন বোলপুরের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর নামে থাকা একটি গাড়ি নিয়ে। এদিন দু’ঘণ্টা ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও, তাঁর মোবাইল ফোন জমা নেয়নি পুলিশ। আর হাজিরা দিয়ে বেরিয়েই, সোজা বোলপুরের তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকে যান অনুব্রত মণ্ডল। 



Source link