জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নন্দী মুভিজ গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছে তাদের পরবর্তী বাংলা ফিচার ফিল্ম ‘ফেরা’, পরিচালনায় প্রতিভাবান পৃথা চক্রবর্তী এবং প্রযোজনায় প্রদীপ কুমার নন্দী।
এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার বাংলায় অভিনয় করতে চলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্র, যিনি ভারতীয় সিনেমায় তার অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সমাদৃত। তাঁর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন বাংলার দুই জনপ্রিয় অভিনেতা — ঋত্বিক চক্রবর্তী ও সোহিনী সরকার। দক্ষ অভিনেতা এবং হৃদয়স্পর্শী কাহিনির মেলবন্ধনে, ‘ফেরা’ হতে চলেছে এক গভীর আবেগপ্রবণ ও মননশীল সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: Deepika Padukone’s ex-boyfriend Muzammil Ibrahim: দীপিকাই আমাকে প্রোপোজ় করে, ২ বছর ওর সঙ্গে প্রেমের পর আমি বিট্রে করি!’
ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, ‘ফেরা ছবির অংশ হতে পেরে আমি ভীষণ উৎসাহিত। পৃথা যেভাবে ভাবেন এবং তাঁর গল্পগুলোকে পর্দায় তুলে ধরেন — সেই সংবেদনশীলতা আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির আমি সবসময়ই প্রশংসা করেছি। কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা আমার কাছে এক বিরাট সম্মানের বিষয়, আমি ভীষণভাবে মুখিয়ে আছি।’
সোহিনী সরকারের বলেছেন, ‘ফেরা’-য় আমার চরিত্রটি যদিও সংক্ষিপ্ত, তবে গল্পের প্রেক্ষিতে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। অনেক সময় চরিত্রের দৈর্ঘ্যের চেয়ে প্রভাবটাই বড় হয়ে ওঠে। এই সিনেমাটির অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।
ডিরেক্টার বলেন, ফেরা এমন এক গল্প, যেটা বড় করে কিছু বলে না—বরং যেটা বলা হয় না, তাকেই জায়গা দেয়। এই ছবি আমার কাছে অনেকটা নিজের ভিতরে ফিরে তাকানোর চেষ্টা। আমার নিজের বড় হয়ে ওঠা যেহেতু মফস্বলের ছোট্ট শহরে, তাই এই ছবির প্রতিটা চরিত্রকেই আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি এবং খানিকটা বেঁচেছি। মফস্বল ছেড়ে বড় শহরের রোজনামচাতে বহুবার মনে হয়েছে আমরা কতটা ছুটছি, কেন ছুটছি, আর সেই দৌড়ের শেষে আদৌ কিছু বদলায় কি না—এই সব প্রশ্ন। এই ছবি মধ্যবিত্ততার, ক্লান্তির, আর সম্পর্কের সেই দিকগুলো নিয়ে কথা বলে, যেগুলো খুব সাধারণ, ও সত্যি। ফেরা কোনও চূড়ান্ত উত্তরে উত্তীর্ণ করে না। কিন্তু কিছুটা থেমে, কিছুটা বোঝার সুযোগ তৈরি করে।
প্রদীপ কুমার নন্দী, প্রযোজক বলেছেন, ‘ফেরা’ আমাদের একটি বিশেষ প্রচেষ্টা । প্রথিতযশা অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্র তাঁর প্রথম বাংলা ফিচার ফিল্মের যাত্রা শুরু করছেন আমাদের ব্যানারে, এবং এই ছবির পরিচালনায় রয়েছেন পৃথা চক্রবর্তী — এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাংলার দুই গুণী শিল্পী ঋত্বিক চক্রবর্তী ও সোহিনী সরকার। আমাদের বিশ্বাস এই ছবি দর্শকদের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে এবং দীর্ঘদিন মনে থেকে যাবে।
সব সম্পর্কের ভাষা উচ্চারণে প্রকাশ পায় না। কিছু অনুভব শুধু নীরবতার ভিতরেই বাঁচে। পান্নালাল, এককালের ফুটবল খেলোয়াড়, আজ অবসরপ্রাপ্ত, একা থাকেন মফস্বলের পুরনো বাড়িতে। তাঁর ছেলে পলাশ, শহরের এক কর্পোরেট কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার, রোজ লড়ছেন চাকরি বাঁচিয়ে চলার জন্য।
আরও পড়ুন: Aankhon Ki Gustaakhiyan: বিক্রান্ত-শানায়ার ‘আঁখোঁ কি গুস্তাখিয়াঁ’, নতুন রসায়নে উত্তাল নেটপাড়া!
জীবনের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুই পুরুষ, আকস্মিক এক ঘটনার কারণে এসে পড়েন এক ছাদের তলায়। ‘ফেরা’ কোনও দ্বন্দ্বের গল্প নয়। এ এক নীরব সহাবস্থানের ছবি—যেখানে কথা কম, অস্বস্তি বেশি, কিন্তু তবু একটা বোঝাপড়া ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এই গল্প জিজ্ঞেস করে—সফলতা মানে ঠিক কী? আমরা কতটা রেখে যেতে চাই, আর তার কতটা আসলে জরুরি? আর ফিরে আসা মানে কি পুরনো জীবনে ফেরা, নাকি নতুন করে বোঝা—যে মাঝারি হওয়া, সাধারণ হওয়া, নিজেকে মেনে নেওয়াও একধরনের সফলতা? সব ফেরার ঠিকানা হয় না— আবার নিঃশব্দ পাশে বসে থাকাও অনেক সময় বাড়ি হয়ে ওঠে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)