<p><strong>বোলপুর :</strong> কুকথা-কাণ্ডে ৬দিন পার। এখনও হাজিরা দিলেন না অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত-প্রশ্নে এখনও হাত গুটিয়ে বসে পুলিশ ! এদিকে তৃণমূল নেতার নোংরা হুমকি ফোন ঘিরে অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে তৃণমূলে। সৌগত রায়ের পর অনুব্রতর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূলেরই দুই বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও আব্দুল গণিও। &nbsp;তৃণমূল নেতার জেলার ভিতর থেকেও সমালোচনার সুর উঠতে শুরু করেছে। কড়া মন্তব্য় করেছেন <a title="অনুব্রত মণ্ডল" href="https://bengali.abplive.com/topic/anubrata-mandal" data-type="interlinkingkeywords">অনুব্রত মণ্ডল</a>ের বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখ। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, ওজনদার নেতা বলেই কি তাঁর প্রতি এত নরম পুলিশ ? এনিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।&nbsp;</p>
<p>সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, "অনুব্রত খাস লোক। সেই বগটুই কাণ্ড থেকে আমরা দেখছি, কেন্দ্রের এজেন্সি হোক বা রাজ্যের পুলিশ হোক, কেউই তাঁর ধারেকাছে যাবে না। পুলিশ দলদাস করলে কি হয় তার নমুনা তো বোলপুর থানার আইসি। পুলিশের মধ্যে যদি ন্যূনতম সম্ভ্রম বোধ থাকে, নিজেদের পরিবার সম্পর্কে, নিজের মান-সম্মান তো গেছে, মা-বোনদের ইজ্জত সম্পর্কে যদি সচেতন থাকেন, তাহলে আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের এবং ডব্লুবিপিএসের অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তি করা উচিত ছিল। মাঝখানে শুনেছিলাম পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ড দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল। সেই ওয়েলফেয়ার বোর্ডটা কোথায় গেল ? পুলিশ কেন ডাকবে ? বোলপুরে এসডিপিও অফিসে দেখবেন, অনুব্রত ছবি লাগানো আছে পিঠের কাছে, যেমন রাষ্ট্রপতি-জাতির পিতার থাকে, ওরকম তৃণমূলের বোলপুরের পিতার ছবি টাঙানো আছে।"&nbsp;</p>
<p>কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "আরে পুলিশ কী করবে ? দিদি যতক্ষণ না নির্দেশ দেবেন পুলিশের ক্ষমতা আছে ? দিদির নির্দেশে হচ্ছে এসব।"&nbsp;</p>
<p>এরকম একটা পরিস্থিতিতে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সমীকরণও কি পাল্টাচ্ছে ? কারণ, আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুষার কান্তি মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কর্মী আসেন বোলপুরে। প্রান্তিকে যে পার্টি অফিস রয়েছে, সেখানে এসে কাজল শেখের সঙ্গে দেখা করেন। কাজল শেখ তাঁদের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। শেষে উপপ্রধান জানান, একটা সময় তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু, এখন আর তাঁরা অনুগামী নেই। কারণ, অনুব্রত মণ্ডলের কাছে গত এক মাস ধরে তাঁরা অনেকবার গিয়েছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। এখন তাঁরা কাজল শেখের নেতৃত্বে চলতে যান। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট তাঁরা কাজল শেখের নেতৃত্বেই করতে চান।</p>



Source link