সেলিম রেজা ও মোহাম্মদ আলী সুমন, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশে(Bangladesh) এবার শেখ মুজিবুর রহমান(Sheikh Mujibur Rahman), সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ/এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশে এসব নেতাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খবর আমাদের করা হয়েছিল। সম্প্রতি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো, বিভ্রান্তকর।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসুবক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসেলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে এই অধ্যাদেশ নাকি এই তথ্য জারি করা হয়। অধ্যাদেশে অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নন, আরো চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা হলেন– প্রথমত, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্ব জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:India Beats China: চিনকে টেক্কা দিল ভারত! তালিকাতেই নেই দেউলিয়া পাকিস্তান…
দ্বিতীয়ত, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃতীয়ত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক। চতুর্থত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।
বাতিল হওয়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুসহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ বা এমপিএ এবং উল্লেখিত চার শ্রেণির সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখন তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে পরিচিত হবেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনীতিবিদদের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়। এ পর্যায়ে গত ১৫ মে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনার শর্তে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন:TV Actor Death: ‘মারণ’ কষ্টের অবসান! ক্যানসার কেড়ে নিল প্রাণবন্ত অভিনেতার প্রাণ…
এরপর বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয় সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার বিষয়টি অনুমোদন দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)