আমদাবাদ: সেই আঠারো বছর ধরে আরসিবির (RCB vs PBKS) জার্সিতে খেলছেন। প্রতিবারেই যতবার মাঠে নেমেছেন ততবারই আরসিবি সমর্থকরা স্বপ্ন দেখেছেন ট্রফি জয়ের। নিজে অধিনায়ক ছিলেন বেশ কয়েক বছর। কিন্তু তবুও পারেননি। কিন্তু নিজের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে শাপমোচন হল। অবশেষে তাঁর ক্যাবিনেটেও শোভা পাবে আইপিএল ট্রফি। আরসিবি পঞ্জাবকে হারিয়ে এবারের আইপিএল নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠেই বসে পড়লেন। অঝোড়ে কাঁদলেন। পরে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে) ধরেও কাঁদছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবেগের বহিঃস্ফুরণ বোধহয় একেই বলে। খেলার শেষে বিরাট নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়েও কোথাও না কোথাও টেস্ট ক্রিকেটকে টেনে আনলেন।
কী বললেন বিরাট?
প্রথমবার আইপিএল জয়ের পর বিরাট বলেন, ”এই অপেক্ষাটা যতটা আমার ছিল, ততটাই এই দলের প্রত্যেকের, এই দলর সব সমর্থকদের ছিল। আমি সবরকমভাবে চেষ্টা করেছি এতগুলো বছর ধরে। নিজের সবটা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি। এই দিনটি আসবে কখনও ভাবিনি। শেষ বল করার সময় নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করছিলাম। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য এবিডি যা করেছে তা সত্যিই অসাধারণ। এই ট্রফিটা এবিরও ততটাই, যতটা আমার। ও অনেক করেছে এই দলের জন্য। আমি চেয়েছিলাম যে এবিডিও আমাদের সঙ্গেই এই মুহূর্তটা উদযাপন করুক।”
আরসিবির জার্সিতেই প্রথম থেকেই আইপিএলে খেলছেন। সে প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ”আমি শুরু থেকেই বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলে আসছি। এমন অনেক মুহূর্ত গিয়েছে যেখানে মন ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু আমি এই দলটার সঙ্গেই থেকে গিয়েছি। আমার হৃদয়ে বেঙ্গালুরু, আমার ভালবাসা বেঙ্গালুরু। যতদিন আইপিএল খেলব এই দলটার হয়েই খেলব। ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমি শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারলাম।”
কিছুদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে আর দেখা যাবে না কোহলিকে। আরসিবির জার্সিতে এই ট্রফি জয়ই কী কেরিয়ারের অন্য়তম স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে? কোহলি বলছেন, ”এই মুহূর্তটা আমার কেরিয়ারের অন্য়তম সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে। প্রথম পাঁচে থাকবে। কিন্তু টেস্টের থেকে নীচেই থাকবে। যদি সম্মান আদায় করতে চাও, তাহল টেস্ট ক্রিকেটের থেকে কোনও বিকল্প নেই।”
ফাইনালে বিরাটের ব্যাট সেভাবে চলেনি। ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ৩টি বাউন্ডারি মাত্র এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে।