NOW READING:
‘ফুসফুসটাকে ছিন্নভিন্ন…’! কোভিডে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর পর শঙ্কাপ্রকাশ চিকিৎসক কুণাল সরকারের
June 4, 2025

‘ফুসফুসটাকে ছিন্নভিন্ন…’! কোভিডে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর পর শঙ্কাপ্রকাশ চিকিৎসক কুণাল সরকারের

‘ফুসফুসটাকে ছিন্নভিন্ন…’! কোভিডে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর পর শঙ্কাপ্রকাশ চিকিৎসক কুণাল সরকারের
Listen to this article


কলকাতা: তিন দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু হল হাওড়ার বাসিন্দা ৪৩ বছর বয়সি মহিলার। এই বছর পশ্চিমবঙ্গে প্রথম কোনও করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হল। এহেন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, কতটা সতর্ক থাকা উচিত ? এদিন ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। 

আরও পড়ুন, বন্যায় বিপর্যস্ত সিকিম-অসম-মণিপুরের বিস্তীর্ণ অংশ, প্রাণহানি অনেকের ! জোরকদমে উদ্ধার কাজ সেনার

এবিপি আনন্দ: পরিষ্কার জানতে চাইব, এখনও পর্যন্ত ধারণাটা কী ছিল ? যেরকম প্রতিবছর একটা ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়। কোভিড আমাদের পার্ট অব লাইফ হয়ে গিয়েছে। এনিয়েই চলতে হবে। এখনও পর্যন্ত মিনি আউট ব্রেক হয়েছে। অনেক বেশি এটা সংক্রামক। তবে মৃত্যুভয় নেই। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে যে, হাওড়ার ৪৩ বছর বয়সী একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। যার কোনও কোমর্বিডিটি ছিল না।এই রাজ্যে এই দফায় প্রথম মৃত্যু। আতঙ্কিত হওয়ার নিঃসন্দেহে কোনও কারণ নেই. কিন্তু সতর্ক হওয়ার কোনও কারণ আছে ? কী করা উচিত এখন আমাদের ?

চিকিৎসক কুণাল সরকার: আমাদের একটা জিনিসকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। কারণ আতঙ্কিত হওয়া এবং সিরিয়াস হওয়ার মধ্যে একটা তফাৎ আছে। আমি মানুষ আতঙ্কিত একেবারেই করতে চাই না। কিন্তু বলতে চাই আমরাই এই ভারতবর্ষে, যখন কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের পর, হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম, আমাদের চোখের আড়ালে, এই কোভিডের একটা রেগুলেটেড মাল্টিপ্লিকেশন মিউটেশন হতে হতে সেকেন্ড ওয়েভে সেটা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে দেখা দিয়েছিল। ডেল্টা ভ্য়ারিয়েন্ট যেটা ভারতবর্ষের নাকের ডাগায় জন্ম নিয়েছিল, সেটা ভারতবর্ষ মাসেক দুয়েক বুঝে উঠতেই পারেি। তো আমরা যেহেতু এইভাবে ভুগেছি, প্রথম কথা হল, একটা আউটব্রেক হচ্ছে। সেটাকে অস্বীকার করে লাভ নেই। আউটব্রেকটা কেন হচ্ছে ? কারণ এখনও সেই ওমিক্রণ জাতীয় ভাইরাস সেটা আরও বেশি সংক্রামক। আমাদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। ঠিক যেমন আমরা কোনও জ্বর, গলা ব্যথা, কোনও অসুস্থতা চাই না, সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা যখনই দেখব, আশেপাশের কারো একটু জ্বর গলা ব্যথা হয়েছে, জিনিসটাকে আগামী ১-২ মাস একটু সিরিয়াসলি নেব। যেনও আমার থেকে আরও ৫টা লোকের না ছড়ায়। সেইভাবে অন্তত দুটো তিনটে দিন, আমি নিজেকে আইসোলেটেড রাখব।   সত্যিকথা এটা , আমাদের চিন্তাটাকে বাড়াচ্ছে। একজন রোগীর কোভিড থেকে মৃত্যু হল, সেখানে কিন্তু একটা প্রশ্ন থাকবে, সেখানে কোভিড ছাড়া কোনও সুপার অ্যাডেড ইনফেকশন ছিল কিনা ? অনেকসময় পালমোনারি ডিজিসে কী হয়, কোভিড থাকে। কিন্তু তার সঙ্গে হয়তো অন্যরকম কোনও ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া হয়। আরও যেটা হয়, আমরা ভাল মনে করেই, ইনফেকশন ট্রিট করতে এতরকম অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকি। যে কালচারেও সেটা ধরা পড়ে না। কারণ ওমিক্রণ বাই কনসেপশন , ওমিক্রণ ফুসফুসে ঢুকে সে বজ্জাতি করবে না। এখন সেই ওমিক্রন আমি যদি মনে করি, NB 1.8.1 কারও ফুসফুসটাকে ছিন্নভিন্ন করে দিল, সেটা কিন্তু আমাদের একটু উদ্বেগের দিকে ঠেলে দেবে। এবং আমরা আমাদের ডাক্তারি ডিটেকটিভগিরিতে,এটা হয়তো মনে করব, There was an element of super added Bacterial or some other infection ! 



Source link