NOW READING:
Bangladesh: বাংলাদেশে ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে পুশ ইন করেছে ভারত, দাবি ঢাকার
June 3, 2025

Bangladesh: বাংলাদেশে ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে পুশ ইন করেছে ভারত, দাবি ঢাকার

Bangladesh: বাংলাদেশে ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে পুশ ইন করেছে ভারত, দাবি ঢাকার
Listen to this article


সেলিম রেজা, ঢাকা: ভারত থেকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় চিঠি দিলেও তা বন্ধ হয়নি। ৫ আগস্টের পর ভারতে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বেশকিছু স্থানীয় নেতা-কর্মীকেও পুশ ইন করেছে ভারত। এ কারণে ভারতে থাকা নেতা-কর্মীরা পুশ ইন আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ভারত থেকে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। এমনটাই দাবি বাংলাদেশের।

ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তারপরই ভারতের গুজরাটে অভিযান চালিয়ে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ দাবি করে কিছু লোককে আটক করা হয়। পরে তাদের পুশ ইন করতে থাকে ভারত। ৭ মে প্রথম দফায় বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ জনকে পুশ ইন কর হয়। এরপর থেকে পুশ ইন অব্যাহত। এমনই বলছেন সরকারের নেতামন্ত্রীরা।

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বাংলাদেশে এখনো নাগরিকদের ঠেলে দেওয়ার (পুশ ইন) ঘটনার বিষয়টি ভারতকে স্মরণ করিয়ে দিতে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

ভারত থেকে এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি লোককে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হয়েছে। গত ৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে ৩৩১, খাগড়াছড়িতে ১১১, কুড়িগ্রামে ৬০, হবিগঞ্জে ১৯, সুনামগঞ্জে ১৬, দিনাজপুরে ২, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯, চাপাইনববগঞ্জে ১৭, পঞ্চগড়ে ৩২, লালমনিরহাটে ২০, চুয়াডাঙ্গায় ১৯, মেহেরপুরে ৩০, ঝিনাইদহে ৪২, কুমিল্লায় ১৩, সাতক্ষীরায় ২৩ এবং বাংলাদেশের ফেনী সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশ ইন করেছে ভারত।

ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ বা বাংলাদেশ থেকে ‘পুশ ব্যাক’ করার কোনো আইনি স্বীকৃতি না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এই পদ্ধতি সীমান্তে কার্যকর রয়েছে। তবে এখন হঠাৎ করে ভারত থেকে যে পুশ ইনের ঘটনা ঘটছে, সেটা নজিরবিহীন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক থাকলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের তালিকা যেন দেওয়া হয়। তালিকা যাচাইয়ের পর কোনো বাংলাদেশি থাকলে, তাকে গ্রহণ করবে বাংলাদেশ। তবে সেই প্রক্রিয়া না মেনে পুশ ইনের ঘটনা অব্যাহত রেখেছে ভারত।

পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হচ্ছে। পুশ ইনের শিকার খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেছেন, তিনি ভারতের নাগরিক। আসামের একটি স্কুলের শিক্ষক তিনি। ভারতীয় বিএসএফ জোর করে পুশ ইন করেছে।

ভারত থেকে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ ইনের ঘটনায় ইতোমধ্যেই দেশটিকে চার দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ৭ মে পুশ ইন শুরু হওয়ার পরদিন ৮ মে ভারতকে  প্রথম চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ১৩, ১৫ ও ২০ মে আরো তিন দফায় চিঠি পাঠানো হয়। এসব চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কাউকে যেন পুশ ইন করা না হয়। ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে যথাযথ চ্যানেল দিয়ে যেন পাঠানো হয়। তবে ভারত চিঠির প্রতিউত্তরে বলেছে, ভারত অবৈধ অভিবাসীদের স্থানীয় আইন ও রীতি অনুযায়ী মোকাবিলা করছে।

আরও পড়ুন-পুলিসের নিদানে স্ত্রীকে সিঁদুরদান প্রেমিকের! ঘরে ফিরে দুই ছেলে-মেয়ের ‘বাবা’ যুবক ঘটালেন ভয়ংকর ঘটনা…

আরও পড়ুন-সামনে মাধ্যমিক, পড়াশোনায় ফাঁকি ঘুমকাতুরে মেয়ের! বাবা বকাবকি করতেই… ইস..

ভারতে অবস্থানরত ২ হাজার ৪৬১ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করে তাদের ফিরিয়ে নিতে বলেছে দেশটি। গত ২১ মে ভারতের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে তাদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি তালিকা ইতোমধ্যেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬০ জনের তথ্য যাচাই অপেক্ষমাণ রয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতের অব্যাহত পুশ ইনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে টেলিফোনে বলেন, দিল্লির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আমরা চেষ্টা করছি নিয়মের বাইরে যাতে কিছু না ঘটে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link