কলকাতা: উদ্বেগের মধ্যেই এবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। চলতি বছরে প্রথম মৃত্যু রাজ্যে। সারা দেশেও ভয় ধরাচ্ছে করোনা (WB Corona Update)। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রামক? কতটা আশঙ্কার? কীভাবে থাকবেন সতর্ক? পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের?
২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের ভয়াবহ স্মৃতির ৩ বছর পর দেশ জুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এ বছর রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। কলকাতায় মৃত্যু হল এক করোনা আক্রান্তের। এক সপ্তাহ ধরে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৪৩ বছর বয়সি মহিলা। ৫ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণে হিসেবে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে কোমর্বিডিটিরও উল্লেখ করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা ছিল মৃত মহিলার, সেপটিক শকে চলে গেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাজ্যে এক দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৪১ জন। গত চারদিনে রাজ্যে ২৫৬ জন করোনা আক্রান্তর হদিশ মিলেছে। রাজ্যে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৩৭২। গত ২৬ শে মে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২। শেষ সাত দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬০ জন। এবিষয়ে চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “কারণ থাকলে পরীক্ষা করান। অকারণে কেসের সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই। করোনার মতো রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজই হচ্ছে টেস্ট করা। আইসোলেট করা। নজরদারির কাজটা করে যেতে হবে। ভাইরাসের চরিত্র হল রূপ বদল করা।”
সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার পার । সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০২৬। এক দিনে সারা দেশে নতুন করে ৫ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। এই নিয়ে সারা দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৫১২ জন। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের নিরিখে দিল্লির পরই নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, “এখনও প্যানিক করার মতো পরিস্থিতি আসেনি। তবে আসবে না সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।” চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “সার্বিকভাবে সুস্থ মানুষদের খুব একটা কিছু হবে না। বয়স্ক বা কোমর্বিডিটি থাকলে এর উপর কোভিড হলে চিন্তার কারণ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। ভিড় থাকলে মাস্ক পরতে হবে।”