<p><strong>হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:</strong> জয়নগরে মত্তদের তাণ্ডবের অভিযোগ। আর প্রতিবাদ করায় জয়নগরে প্রতিবাদীকে পিটিয়ে খুন করা হল। ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনায় গ্রেফতার মাত্র দুই। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। </p>
<p>দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বকুলতলায় এক প্রতিবাদী যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ২জন। মোক্তার নস্কর ও কুতুবুদ্দিন নস্কর কে গ্রেফতার করল বকুলতলা থানা। <br />যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নাম রয়েছে এই দুজনেরও। ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে চুরি, ছিনতাই সহ একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি নিহতের পরিবারের সদস্যদের। এর আগেও একাধিকবার অভিযুক্তরা মত্ত অবস্থায় অশান্তি করেছে বলেও দাবি তাঁদের। <br /><br />অভব্য আচরণ এবং অশালীন ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় সায়েম খানকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। <br />প্রতিবাদীর মৃত্যুর পরে গতকাল দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের বকুলতলা। রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে বিক্ষেভের মুখে পড়ে পুলিশ। ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যান মহিলারা। অবশেষে রাতে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। দেহ ময়নাতন্তের জন্য পাঠায় তদন্তকারীরা। থমথমে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।</p>
<p>স্থানীয়দের দাবি, রবিবার জয়নগরের বকুলতলার বুইচবাটি এলাকায় পাশের গ্রাম থেকে কয়েকজন মত্ত অবস্থায় এসে অশালীন আচরণ শুরু করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তুমুল বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকালে পাশের রূপনগর গ্রাম থেকে ফের বুইচবাটিতে আসে রবিবারের মত্ত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদীদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন সায়েম খান। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।</p>
Source link
প্রতিবাদ করায় চরম পরিণতি যুবকের, গ্রেফতার দুই; পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
