NOW READING:
Jyoti Malhotra’s lawyer Kumar Mukesh: ‘নির্দোষ’ জ্যোতিকে বাঁচাতে এলেন আইনজীবী কুমার মুকেশ! বাবার কাছে গিয়ে বললেন, লড়ব…
May 29, 2025

Jyoti Malhotra’s lawyer Kumar Mukesh: ‘নির্দোষ’ জ্যোতিকে বাঁচাতে এলেন আইনজীবী কুমার মুকেশ! বাবার কাছে গিয়ে বললেন, লড়ব…

Jyoti Malhotra’s lawyer Kumar Mukesh: ‘নির্দোষ’ জ্যোতিকে বাঁচাতে এলেন আইনজীবী কুমার মুকেশ! বাবার কাছে গিয়ে বললেন, লড়ব…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুপ্তচরবৃত্তি এবং পাকিস্তানে গিয়ে গোপন তথ্য ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা এখন হিসার জেলা আদালতে। তাঁর আইনি লড়াই লড়ছেন অ্যাডভোকেট কুমার মুকেশ। আইমজীবি মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং আদালতে তার অনুমোদন জমা দিয়েছেন।

২৬ বছর বয়সি জ্যোতির বিরুদ্ধে পাক আধিকারিক আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালে দিল্লি হাই কমিশনে তাঁদের সাক্ষাৎ হয় বলে জানা গিয়েছে।  দু’বার জ্যোতি পাকিস্তান যান বলে খবর। তাঁর ফোন, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনও পাকিস্তানকে তিনি তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন: Fact Check On Rahul Gandhi & Jyoti Malhotra: জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রাহুল গান্ধীর! দু’জনে একফ্রেমেই! সত্যি?

প্রথম শুনানি ৯ জুন হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে জ্যোতি বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় ওয়াকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন। তার আইনজীবী জানিয়েছেন যে মামলার নথিপত্র পেয়ে তারা শীঘ্রই জামিন প্রক্রিয়া শুরু করবেন। ‘আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নথি দেখার পরে, আমরা জামিনের আবেদন করব,’- আইনজীবি মুকেশ বলেন।

পুলিশের মতে জ্যোতি মালহোত্রা দুবার পাকিস্তান গিয়েছেন। ভারতের জাতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য থেকে পাকিস্তানের ছড়িয়ে দিয়েছেন। তদন্তকারীরা তার ব্লগ ঘুরতে যাওয়ার ভিডিও এমনকি উড়িষ্যার জগন্নাথ মন্দির চিলকা কোনারক মন্দির ঘুরতে যাওয়ার সমস্ত তথ্য ফুটিয়ে দিচ্ছেন। হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে তার তদন্তকারী দল

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ৯ দিনের পুলিশ রিমান্ডের পর ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলাটি নতুন মোড় নিয়েছে কারণ জ্যোতি এর আগে দুটি আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় সরকারি আইনজীবীদের সাহায্য নিয়েছিলেন, এখন তার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একজন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেছেন।

জ্যোতি বুধবার আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে বিচারক তাকে আরও তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: Parcel Bomb case Odisha: একটা বিয়ে, গিফটবক্সে বোমা, জোড়া খুন, এক ইংরেজির অধ্যাপক অথবা প্রতিহিংসা…

জ্যোতির মামলা গ্রহণ করে মুকেশ বলেন, ‘কাল ও আমাকে নিয়োগ করেছেন জ্যোতি মালহোত্র। আদালতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু তথ্য চেয়েছি আমি। সেগুলো হাতে পেলে তবেই কিছু বলতে পারব।’ মুকেশও জ্যোতির সঙ্গে জেলে দেখা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘উনি (জ্যোতি) অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তদন্তে কী পাওয়া গিয়েছে, তা চার্জশিট এলে তবেই বোঝা যাবে। সব গোপন রাখা হয়েছে। আমি তথ্য় চেয়েছি। সেগুলো দেখেই কিছু বলতে পারব।’

জ্যোতির ব্য়াঙ্ক লেনদেন নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেই নিয়ে মুকেশ বলেন, ‘ভ্লগারের অ্যাকাউন্টে টাকা তো ঢুকবে? টাকা কোথা থেকে এসেছে দেখতে হবে। দেখতে হবে পাকিস্তানি ইনটেলিজেন্স বা ISI-এর কাছ থেকে এসেছে কি না। নইলে টাকাতো আসতেই পারে। ভ্লগারের কাছে তো স্পন্সরশিপের টাকা আসেই।’ পাক সংযোগ নিয়ে মুকেশ জানান, পুলিশকে অপরাধ প্রমাণ করতে হবে। মুকেশ জানিয়েছেন, জ্য়োতির জ্যেঠুর এটিএম কার্ড পর্যন্ত জমা নেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলে। জ্যোতির স্কুটার পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। 

কিন্তু একজন ইনফ্লুয়েন্সারের হাতে স্পর্শকাতর তথ্য পৌঁছল কী করে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু হিসারের এসপি শশাঙ্ক কুমারের দাবি, জ্যোতির কাছে স্পর্শকাতর তথ্য় ছিল বলে এখনও পর্যন্ত কোনও পোক্ত প্রমাণ মেলেনি। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর সংযোগ ছিল বলে জানা যায়নি। কিন্তু একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। লাহৌরের অনারকলী বাজারে জ্যোতির সঙ্গে ছ’-ছ’জন নিরাপত্তারক্ষী দেখা যায় একটি ভিডিও-তে। অত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর কেন প্রয়োজন পড়ল, উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু মুকেশের দাবি, সব পক্ষ জানা দরকার। পাকিস্তানের গুরুদ্বারে গেলে নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে থাকে, যাতে কোনও বিপদ না হয়। ভিডিও বানাচ্ছিলেন জ্যোতি। হতে পারে সেই জন্যও গার্ড ছিল।

উল্লেখ্য, যেহেতু কোনও আইনজীবী ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত আজমল কাসভকে ‘ডিফেন্ড’ করতে আগ্রহী ছিলেন না, আদালত তখন একাধিক আইনজীবীকে নিয়োগ করেছিল। মূল যেসব আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয় তাঁদের মধ্যে ছিলেন আব্বাস কাজমি। পরে অসহযোগিতার কারণে তাঁকে সরিয়ে কে পি পাওয়ারকে নিয়োগ করা হয়। বোম্বে হাইকোর্টে কাসভের হয়ে লড়েন আমিন সোলকার ও ফারহানা শাহ। কাসভের মৃত্যুদণ্ড সাজার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করেন রাজু রামচন্দ্রন। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link