আমদাবাদ: এই ম্যাচটা যতটা না চেন্নাইয়ের তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল গুজরাত টাইটান্সের জন্য। লখনউয়ের বিরুদ্ধে হারের পর এবার সিএসকের বিরুদ্ধেও হেরে গেল শুভমন গিলের দল। ২৩১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে গেল চেন্নাইয়ের ইনিংস। ৮৩ রানে হেরে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা কিছুটা চাপের হয়ে গেল গুজরাত শিবিরের জন্য। পাঞ্জাব, আরসিবি ও মুম্বইয়ের ম্য়াচের ফলের দিকে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে এখন।
পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু গুজরাতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ এবারের আইপিএলে যে ফর্মে রয়েছে, তাতে মনে হয়েছিল যে এই ম্য়াচেও রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে গুজরাত শিবির। কিন্তু আদতে তা হল না। বরং তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল শক্তিশালী গুজরাত টাইটান্সের ব্যাটিং লাইন আপ। রান পেলন না শুভমন গিল, জস বাটলার কেউই। অনশুল কম্বোজের বলে প্রথমে ফিরলেন গিল। ৯ বলে ১৩ রান করে ফিরলেন তিনি। বাটলারকে ফিরিয়ে দিলেন খলিল আহমেদ। মাত্র ৫ রান করে ফেরেন তিনি। খাতা খোলার আগেই অনশুলকে ফিরিয়ে দেন কম্বোজ। তরুণ এই পেসার কিন্তু দিনের পর দিন যত ম্য়াচ খেলছেন নিজেকে ততই ক্ষুরধার করে তুলছেন। এদিন ২.৩ ওভারের স্পেলে ১৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নিলেন একাই। রবীন্দ্র জাডেজা ২ উইকেট নেন। গুজরাতের মিডল অর্ডারে শাহরুখ খান, রাহুল তেওয়াটিয়া ও রশিদ খান কেউই বড় রান পাননি। যার জন্য ২৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো চাপের হয়ে যায় গুজরাতের জন্য। টেল এন্ডারদের মধ্যে আর্শাদ খান ১৪ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্য়ে ২০ রান করেন। তবে ম্য়াচ বাঁচাতে পারেননি।
‘টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এটাই দুটো দলের শেষ লিগ পর্যায়ের ম্য়াচ। ওপেনিংয়ে ডেভন কনওয়ের সঙ্গে নেমেছিলেন আয়ুশ মাথরে। কনওয়ে শুরুতে একটু ধৈর্য্য ধরে খেলছিলেন। কিন্তু কিশোর আয়ুশ এদিন চালিয়ে খেলছিল শুরু থেকেই। ১৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়ন ফিরলেন। তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকায় সে। উরভি পটেল এবার চেন্নাই সুপার কিংসে এসেছিলেন একেবারে মাঝপথে। কিন্তু আসার পরই ব্যাট হাতে টপ অর্ডারে তাঁর ব্যাটে ঝড় দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতি ম্য়াচেই। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুরুতে একটু স্লথ খেললেও ধীরে ধীরে হাত খোলেন ডেভন কনওয়ে। শেষ পর্যন্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ৩৫ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তিনি। উরভিও চালিয়ে খেলে ১৯ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। শিবম দুবে ৮ বলে ১৭ রান করেন। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস এরপর লোয়ার অর্ডারে নেমে ঝড় তোলেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্য়াচে যে ছন্দে ছিলেন। এদিনও ঠিক তেমনই ফর্মে ছিলেন প্রোটিয়া তারকা। ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার সাহায্য়ে ২৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ব্রেভিস। ১৮ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র জাডেজা।
আরও দেখুন