কলকাতা:  গতকাল বৃহস্পতিবার চাকরিহারা শিক্ষকদের বিকাশভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কাউন্সিলর সব্যসাচী দত্তকে চোর স্লোগান দেয়। এরপরেই মেজাজ ধরে রাখতে পারেনি বলে অভিযোগ। পাল্টা চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিকে তেড়ে যান তৃণমূল নেতা। বিক্ষোভরত ওই চাকরিহারা শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এরপরেই জটিল হয়ে পড়ে। এই বিষয় নিয়ে এদিন মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন ও শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম এবং এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।

আরও পড়ুন, চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ, ভুল কবুল পুলিশের!

সাংবাদিক: অভিযোগ উঠেছে, গতকাল যখন একজন নেতা (সব্যসাচী দত্ত) গিয়েছিলেন, তাঁর উস্কানিতে বহিরাগতরা লাঠি দিয়ে ও হেলমেট দিয়ে মেরেছে। কিন্তু সেখানে পুলিশ কিছু করেনি। সাংবাদিক এবং আন্দোলনকারীদেরও মারা হয়েছে..

রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন ও শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম: উনি ঢুকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওনাকে ওখান থেকে তাঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা যেমন যেমন অভিযোগ পাব, তার ভিত্তিতে তদন্ত করব। এবং পদক্ষেপ নেব।

সাংবাদিক:কিন্তু স্যার, চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যখন লাঠি ও হেলমেট দিয়ে মারা হল, তখন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিল না কেন ?

রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার:  শুনুন, স্যার যেমন বললেন, অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সিকোয়েন্সের বিষয়টা শুনতে হবে। যে জন প্রতিনিধির কথা বলছেন, তিনি বিকাশভবনে একটি কাজে যাচ্ছিলেন। আপনি কি পারেন, এটা কি আমার আইনি অধিকারের মধ্যে পড়ে, যে ওনাকে রাস্তায় আটকে দেব ? তিনি বিকাশভবনে এখটি কাজে যাচ্ছেন, তাঁর গাড়ি ঘেরাও করে আমরা ৪৫ মিনিট বসে থাকব ? তিনি যেই হোন, যে দলেরই হোন, যে পেশারই হোন, এটা প্রথম বেআইনি কাজটা আন্দোলনকারীদের তরফে শুরু হয়েছিল। তারপর স্যার যেমন বললেন, উনি বের হন। বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারপর যে অপ্রীতিকর ঘটনা যেটা আপনারা টিভিতে দেখেছেন, সেই ব্যাপারে কোনও অভিযোগ এলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এটা অন রেকর্ড ক্লিয়ার করে দিতে চাই, প্রথম বেআইনি কাজটা আন্দোলনকারীদের তরফেই হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুরো প্যানেল বাতিল করা  হলেও, আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে শিক্ষকদের। বেতন মিলবে তাঁদের। পাশাপাশি ৩১ মে এর মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএসসি-কে। এদিকে নতুন করে যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে নারাজ চাকরিহারারা।  

আরও দেখুন