নয়াদিল্লি : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং তার প্রত্যাঘাত হিসাবে ‘অপারেশন সিঁদুরের’ আগেই একটি চুক্তি সই হয়েছিল পাকিস্তানে। যা এবার নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের স্ক্রুটিনিতে চলে এসেছে। কারণ, এর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবার ও পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের। এমনই খবর ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই চুক্তি হয়- একটি বেসরকারি মালিকানাধীন মার্কিন ক্রিপ্টোকারেন্সি ফার্ম এবং পাকিস্তানের মাত্র মাসখানেক বয়সী ক্রিপ্টো কাউন্সিলের মধ্যে। কিছু অত্যন্ত উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত। ওই ফার্ম World Liberty Financial ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত।
‘দ্য ট্রাম্প-কানেকশন’-
ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত ফিনটেক এন্টারপ্রাইজের বেশিরভাগ অংশীদারিত্ব রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়রের, পাশাপাশি তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনারের, যাঁরা সম্মিলিতভাবে কোম্পানির ৬০ শতাংশ মালিক। গত এপ্রিল মাসে এই ফার্ম পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ইচ্ছাপত্র স্বাক্ষর করেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গঠনের কয়েক দিনের মধ্যেই, পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল নবগঠিত সংস্থাটিকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার জন্য Binance-এর প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাওকে উপদেষ্টা হিসেবে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করে। দৈনিক ট্রেডিং ভলিউমের দিক থেকে Binance বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ। গত মাসের শুরুতে তাদের লঞ্চ ইভেন্টে, পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল বলেছিল যে তারা ইসলামাবাদকে “দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিপ্টো রাজধানী” হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখছে।
পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের তরফে স্বাগত-
এই চুক্তিতে সই করতে ওয়াশিংটন থেকে ইসলামাবাদে গিয়েছিল একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম। এর নেতৃত্বে ছিলেন ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা, জ্যাকারি উইটকফ, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সহযোগী এবং বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের ছেলে। এই দলকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়াছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। এরপর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও আসিম মুনিরের সঙ্গে বন্ধ ঘরে একটি মিটিংও হয়েছিল তাঁদের।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর চুক্তিটি নিয়ে তীব্র শোরগোলের মধ্যেই World Liberty Financial একটি প্রেস নোট জারি করে বলেছে যে এই চুক্তির পিছনে “কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই”। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিবার, সেইসঙ্গে হোয়াইট হাউস, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নীরব রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে তিনি মধ্যস্থতা করেছেন বলে দাবি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও দেখুন