সেলিম রেজা, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশে ফের খুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুষ্কৃতীদের ছুরি আঘাতে প্রাণ গেল শাহরিয়ার আলম সাম্য নামে এক পড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্র ছিল সে।
আরও পড়ুন: Pak High Commissioner Honey Trapped: ঢাকায় কেচ্ছা! বাংলাদেশি মডেলের সঙ্গে ফস্টিনস্টি, হোটেলের ঘরে আলুথালু পাক রাষ্ট্রদূত….
কেবল সাম্যই নন, স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক সংঘাত-সহ নানা কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭৬ জনের খুনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সবগুলো হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য যাচাই সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিরোধ, দলীয় কোন্দল, চাঁদাবাজি, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দল-উপদলের দ্বন্দ্ব ও নারীঘটিত কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে বেশিরভাগেরই বিচার হয়নি। কোনও মামলায় রায় হলেও আসামির চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।
বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩২) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে গণপিটুনি নিয়ে খুন করে একদল পড়ুয়াই। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছ
এর আগে, ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে পড়ে খুন হন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর। ২০১৭ সালে এই মামলার রায়ে ছাত্রলীগের প্রাক্তন ১০ নেতাকর্মী বেকসুর খালাস পান। অথচ রায়ের ব্যাপারে নিহতের পরিবার কিংবা বাদীকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সেসময় ১০ শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বহিষ্কার করে। তবে পরে হাইকোর্টের রিটের পর ২০১২ সালে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা বলে করে আদালত। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এ ঘটনায় পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায় ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল। সেদিন মধ্যরাতে হঠাৎ গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়েন সাতজন। সেদিন রাজনৈতিক বিরোধে করে মাস্টার দা সূর্যসেন হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বসির উদ্দিন আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হোসেন, সৈয়দ রিজওয়ানুর রব, এবাদ খান, সমাজবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ বাব্বন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের এম এ ইদ্রিস, সমাজবিজ্ঞানের এম এ চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হক কোহিনুরকে মুহসীন হলের টিভি রুমের সামনে ব্রাশফায়ার করা হয়।
আরও পড়ুন: Bangladesh: গাজোয়ারি করে গোরু নিয়ে চলে গিয়েছে নেতা, বাছুর নিয়ে আদালতে অসহায় মালিক!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)