NOW READING:
হঠাৎ আমাদের গাড়িতে ঠেসে দেওয়া হয়… ধর্মশালায় কেমন ছিল সেই রাত? জানালেন স্টার্কের স্ত্রী
May 14, 2025

হঠাৎ আমাদের গাড়িতে ঠেসে দেওয়া হয়… ধর্মশালায় কেমন ছিল সেই রাত? জানালেন স্টার্কের স্ত্রী

হঠাৎ আমাদের গাড়িতে ঠেসে দেওয়া হয়… ধর্মশালায় কেমন ছিল সেই রাত? জানালেন স্টার্কের স্ত্রী
Listen to this article


নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) মধ্যে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামে আয়োজিত পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (PBKS vs DC) ম্যাচ মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তার পরের দিন আইপিএলও (IPL 2025) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিদেশি ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই ফিরে গিয়েছেন নিজেদের দেশে। যে তালিকায় রয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ফাস্টবোলার, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কও। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের স্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্মশালায় কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁদের। 

স্টার্কের স্ত্রী অ্যালিসা হিলিও ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের অধিনায়ক। ধর্মশালায় সেই রাতের ঘটনা বর্ণনা দিয়েছেন। পঞ্জাব যখন ১০.১ ওভারে ১ উইকেটে ১২২ রান করেছিল, তখন ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক কারণ হিসেবে ফ্লাডলাইটের ত্রুটির কথা বলা হয়েছিল। পরে জানা যায়, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক আউট করে স্টেডিয়াম খালি করা হয়।

অস্ট্রেলিয়া ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্কের স্ত্রী অ্যালিসা তখন অন্যান্য খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্ট্যান্ডে ছিলেন। এটাকে একটা সাধারণ সমস্যা মনে করে অ্যালিসা ও তাঁর সঙ্গে উপস্থিত অন্যরা প্রথমে শান্ত ছিলেন। কিন্তু পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

অ্যালিসা একটি পডকাস্টে বলেছেন, ‘বিদ্যুতের কিছু টাওয়ারের বাতি নিভে গিয়েছিল এবং আমরা সেখানেই অপেক্ষা করছিলাম। আমি কিছুটা দূরে বসে শুনেছিলাম যে, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে আমাদের স্টেডিয়াম খালি করতে হতে পারে। আমাদের সঙ্গে পরিবার ও অতিরিক্ত সহায়ক কর্মীদের একটা বড় দল ছিল। পরের মুহূর্তেই আমাদের দলের সঙ্গে যিনি ছিলেন এবং আমাদের সঙ্গে বাসে ছিলেন, তিনি এলেন। তাঁর মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল।’

এরপর পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায় এবং তাঁদের যেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে পঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড়রা আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন। অ্যালিসা বলেছেন, ‘এত দ্রুত সব ঘটে যাচ্ছিল যে, ফাফ ডু’প্লেসি জুতো পরার সময়ও পায়নি। ওরা সবাই ওখানে অপেক্ষা করছিল এবং উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। আমি মিচকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘কী হচ্ছে?’ তখন ও বলেছিল, ৬০ কিলোমিটার দূরের শহরে এখনই মিসাইল হামলা হয়েছে।’

অ্যালিসা আরও বলেছেন, ‘তাই এলাকাকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল যার অর্থ হল বাতি নিভে গিয়েছিল। কারণ সেই সময় ধর্মশালা স্টেডিয়াম সহজ নিশানা হতে পারত। তখনই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলাম। তারপর হঠাৎ করে আমাদের একটা ভ্যানে ঠাসাঠাসি করে বসিয়ে দেওয়া হয় এবং আমরা হোটেলে ফিরে যাই। সেখানকার পরিস্থিতি খুব ভাল ছিল না। আমরা পঞ্জাবের কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে বাসে বসে ছিলাম। আমার মনে হয় শ্রেয়স আইয়ার আমার বাসে ছিল।’

দুই দলকে পরের দিন দীর্ঘ সড়ক ও ট্রেন যাত্রার মাধ্যমে দিল্লিতে আনা হয়।

আরও দেখুন



Source link