NOW READING:
Bengaluru Corporate Slave: ‘আমি কি মরছি’? বেঙ্গালুরুর কর্মীর দিনে ১৬ ঘন্টা কাজ! টানা আড়াই বছর পাননি ছুটি…
May 12, 2025

Bengaluru Corporate Slave: ‘আমি কি মরছি’? বেঙ্গালুরুর কর্মীর দিনে ১৬ ঘন্টা কাজ! টানা আড়াই বছর পাননি ছুটি…

Bengaluru Corporate Slave: ‘আমি কি মরছি’? বেঙ্গালুরুর কর্মীর দিনে ১৬ ঘন্টা কাজ! টানা আড়াই বছর পাননি ছুটি…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ সারা দুনিয়ার কর্পোরেট কর্মীদের ফোরাম হয়ে উঠেছে রেডিট (Reddit)। জনপ্রিয় এই সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মকে, তাঁরা বেছে নিয়েছেন কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য। তাঁরা সেখানে হতাশা, ক্ষোভ, হাড়ভাঙা খাটুনি, ভয়ংকর লড়াইয়ের কথাই তুলে ধরেন। কেউ কেউ আবার বাকিদের থেকে চান পরামর্শও। 

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক চাকুরিজীবী জানিয়েছেন যে, তিনি কীভাবে ‘কর্পোরেট ক্রীতদাস’ হয়ে উঠছেন দিনের পর দিন। প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা কাজ করে তাঁর ২৪ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছে। বিগত আড়াই বছরে আশেপাশেও ঘুরতে যাননি তিনি। এমনকী তাঁর গার্লফ্রেন্ডকেও তিনি সঙ্গ দিতে পারেন না। সেই কর্মী জানিয়েছেন যে, চাকরির চক্করেই তাঁর মন এবং শরীরে ভয়ংকর প্রভাব পড়েছে। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে রসদ জুগিয়ে বিপন্ন তুর্কিয়ে-আজ়ারবাইজান! বয়কটের পথে ভারত, ট্যুর বাতিল করছে সবাই…

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকুরিজীবী লিখেছেন, ‘আপনাদের বেশিরভাগের মতোই আমিও ভারতে এক কর্পোরেট দাস, আমার কেরিয়ারের শুরু থেকেই এক বিষাক্ত কর্মসংস্কৃতিতে আটকে আছি। প্রায় তিন বছর হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন, আমি ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা কাজ করি অথবা কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজেই থাকি। ২০২২ সালের অগাস্টে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে আমার ওজন ২৪ কেজি বেড়ে গিয়েছে। আমার ঘুমের সময়ের কোনও ঠিকই নেই। কখনও রাত আমি ২ টোর সময়ে ঘুমাই তো কখনও রাত ১১টা। কিন্তু আমি অফিস চলে আসি সকাল ৯ টার মধ্যে।’ 

সেই কর্মচারী জানিয়েছেন যে, তাঁর মা ছেলের সুস্থতা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। এবং ছেলে আজ অনুশোচনা করছেন যে, তাঁর পেশাগত বৃদ্ধি সত্ত্বেও, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু নেই বললেই চলে। পিছনে ফিরে তাকালে, বলতে পারি যে আমি অনেক কিছুই শিখেছি, কিন্তু মুদ্রার অন্য পিঠটি ভীষণ বেদনাদায়ক। আমার ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই। আমি আড়াই কোথাও ভ্রমণ করিনি। এমনকী বেঙ্গালুরুর অবস্থিত নন্দী হিলসেও না। আমার গার্লফ্রেন্ডকে অবহেলা করছি। যদিও সে আমার জীবনের একমাত্র ধারাবাহিক ও ইতিবাচক বিষয়।’
 
ওই কর্মীর দাবি, তিনি পুরোপুরি ক্লান্ত। একজন আদর্শ কর্পোরেট কর্মী হওয়ার জন্য তাঁর কর্মজীবনের ভারসাম্য হারিয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সপ্তাহান্তে কাজ করেন, ছুটি বাতিল করেন এবং সবকিছুর উপরে কাজকে অগ্রাধিকার দেন। বেতন উপার্জন করা সত্ত্বেও, তিনি কখনই পরিপূর্ণ বা খুশি বোধ করেন না। নতুন সুযোগের সন্ধান করার মতোও শক্তি তাঁর নেই। শেষে তিনি প্রশ্ন করছেন, ‘আমার কী করা উচিত? আমি কি সত্যিই মারা যাচ্ছি?’ এই পোস্টের পরেই ঝড় উঠে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ‘৪০০’ ভোল্টের ঝটকা, এবার আকাশ প্রতিরক্ষায় দেশের ‘৫০০’ দাওয়াই!

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link