শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লক মানসাই চণ্ডীর পাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ভস্মীভূত সাতটি দোকান, ঘটনাস্থলে বক্সারহাট থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। শট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে বলে দমকল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, ভারত-পাক সংঘাত আবহেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস-এর নতুন ইউনিটের উদ্বোধন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ; ‘শত্রুপক্ষকে ভারী আঘাতে সক্ষম এই ব্রহ্মস..’ !
কিন্তু এই শর্টসার্কিটের জন্য দায়ী কে ? দীর্ঘদিনের অসতর্কতা ? তারের জটলা নাকি আর্জি জানিয়েও মেলেনি সমাধান। বলাইবাহুল্য এই কারণ প্রকাশ্যে আসার আগেই এই মুহূর্তে ক্ষতিপূরণ হবে কীকরে , পেট চলবে কী করে, এই নিয়েই ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে সাইকেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল বর্ধমানের দোকানে। বেআইনিভাবে গ্যাস রিফলিং এর অভিযোগউঠেছিল। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল পাশের গোলদারি দোকানও। কালো ধোঁয়ায় ঢাকল পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। আতঙ্কে স্বাস্থ্য কেন্দ্রতে ঘন্টা দুয়েক বন্ধ ছিল পরিষেবা , আতঙ্কে চিকিৎসক থেকে রোগীরা। পুড়ে গিয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুটি সিসিটিভি ক্যামেরাও।
কালীপুজোর রাতে উল্টোডাঙার আবাসনে দেখা গিয়েছিল অগ্নিকাণ্ড। ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল ভয়াবহ ছবি ! আগুনে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক আবাসিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আবাসতের ১৩ তলার বারান্দায় প্রথমে আগুন দেখা যায়। সেই বারান্দায় ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার।সেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।অভিযোগ, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেও ঠিক মতো কাজ করেনি। আবাসন ঘুরে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সেইসময় কাউন্সিলর। কিন্তু কথা হচ্ছে, একের পর এক অগিকাণ্ডের ঘটনায় কার্যতই আতঙ্কে কাঁটা শহরের বাসিন্দারা।
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে আগুন লেগেছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ওই বাড়িরই ২২-২৩বছরের তরুণ। গুরুতর জখম তরুণকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল MR বাঙুর হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তুলছিলেন স্থানীয়রা। গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিক জায়গায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। গত কয়েকমাসের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী ছিল এসি। কোথাও আবার গ্যাসের সিলিন্ডার।তবে বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ের ওই এলাকায় আকাশ ছেয়েছে কালো তারে। শর্ট সার্কিটের জন্যও আগুন লাগার ভুরিভুরি ঘটানার উদাহরণ বহন করে চলেছে এই কলকাতা। কিন্তু কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ? দায়ী কে ? অগ্নিদাহ্য বস্তুগুলি নিয়ে কি দায়িত্বশীল নয় কেউ ? আগুন লাগলে কি আদৌ বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকছে ? ফের নগরবসারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল।
আরও দেখুন