ধর্মশালা: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার জবাব দিতে অপারেশন সিঁদুর সম্পন্ন করেছে ভারত। তারপর থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তান। জবাব দিচ্ছে ভারতও। দুই দেশের উত্তেজনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে।
আর সেই পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়তে চলেছে আইপিএলের (IPL 2025) ম্যাচে!
১১ মে ধর্মশালায় আইপিএলের ম্যাচ রয়েছে পঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Punjab Kings vs Mumbai Indians)। সেই ম্যাচটি সরানো হতে পারে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহেই ধর্মশালায় আইপিএলের হাইভোল্টেজ ম্যাচ করতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, খবর সূত্রের।
ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়াম পঞ্জাব কিংসের অন্যতম হোম গ্রাউন্ড। চলতি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১১ মে-র ম্যাচই এই মাঠে এবারের মতো পঞ্জাব কিংসের শেষ ম্যাচ ছিল। ধর্মশালায় মোট ৩টি ম্যাচ রয়েছে পঞ্জাব কিংসের। প্রথম ম্যাচে তারা এই মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই মাঠেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে শ্রেয়স আইয়ারদের।
প্রথমে ঠিক ছিল, বৃহস্পতিবারই ধর্মশালায় পৌঁছে যাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হার্দিক, রোহিত শর্মাদের সেই সফর স্থগিত রাখা হয়েছে বলেই খবর। ম্যাচ স্থানান্তরিত করা নিয়ে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে আলোচনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছিল পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। সেই প্রস্তাব তারা মেনে নিয়েছে। গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার সচিব অনিল পটেল জানিয়েছেন, তাঁরা আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আমদাবাদে চলে আসতে পারে।
আপাতত ১১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। তাদের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট মুম্বইয়ের।
এদিকে, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পরপর এয়ারপোর্ট বন্ধ করল পাকিস্তান। কাল সকাল ৬ পর্যন্ত লাহৌর বিমানবন্দর বন্ধ করল পাকিস্তান। আজ সন্ধে ৬ পর্যন্ত করাচি বিমানবন্দর বন্ধ করল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরে একেবারে টার্গেট অ্যাটাক করেছে বলে জানাল ভারত। লক্ষ্য স্থির করে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের প্রমাণ দিল ভারতীয় সেনা। বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, যেখানে জঙ্গিরা থাকত, এর সঙ্গে রয়েছে জইশ পরিচালিত মাদ্রাসা এবং কমান্ড সেন্টার, যেখানে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবার থাকত। আশেপাশে আরও বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে জইশের হেড কোয়ার্টারেই প্রত্যাঘাত করা হয়েছে বলে জানাল ভারতীয় সেনা।
আরও দেখুন